Barbaroslar

Barbaroslar Bolume 21 Bangla Subtitles – বারবারোসলার ভলিউম ২১ বাংলা সাবটাইটেল

Barbaroslar Bolume 21 Bangla Subtitles

ভলিউম দেখতে পোষ্টের নিচে যান

বিভিন্ন ধরনের উৎপাদন, প্রাণী, খনি, ব্যবসার লাভ, আমদানি রপ্তানির
ওপর লাভ প্রভৃতি সবকিছুর ওপর কর আরোপ করা হয়। এ ধরনের পণ্য কর
ব্যতীত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও অন্যান্যদের মালিকানাধীন সম্পত্তির ওপরও
করারোপ করা হয়। এতে অবশ্য এ ধরনের জনগোষ্ঠীর রোষানাল বেড়ে যায়।

আর্থিকভাবে অটোমান সাম্রাজ্য দিনে দিনেই সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছিল।
সুলতানের নিজের অঞ্চল ও দখলীকৃত অঞ্চল সমূহ থেকে প্রাপ্ত করের কারণে
রাজকোষ ক্রমেই পূর্ণ হয়ে সমসাময়িক খ্রিস্টান রাজাদেরকে অতিক্রম
করেছিল ।

এত সব কিছুর পরেও সুলতানের সকল পুনঃসংস্কার কাজ যথাযথভাবে
প্রয়োগের অভাবে সফল হতে পারেনি । কেননা উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের দ্বারা
প্রজাদের সুখ-দুঃখের কথা ব্যক্তিগতভাবে শোনার বা বোঝার উপায় ছিল না
সুলতানের ।

বিশেষ করে মুসলিম প্রতিষ্ঠান সমূহের মাধ্যমে রাজ্যজুড়ে নিজের সরকার
ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলেন সুলতান সুলেমান। প্রধান মুফতি বা
উলেমা প্রধানকে প্রায় প্রধান উজিরের সমমানের সম্দান প্রদানের মাধ্যমে প্রধান
মুফতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, সম্প্রসারণ ও বিধান সভা এবং কার্যনির্বাহী অংশের মাঝে
শক্তির ভারসাম্য স্থাপন করেন সুলতান। এছাড়াও সকল উলেমাকে বিশেষ

সুবিধার আওতায় আনা হয়; যা অবশ্য পরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যাও তৈরি
করেছিল। এরা কর প্রদান করত না এবং জমি-জমার ক্ষেত্রে উত্তরাধিকার সূত্রে
ভোগ-দখলের অধিকার পেত।

সুলেমান “উলেমা*দের জন্য শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি করেন। এগুলোর
খরচ দেয়া হতো বিভিন্ন ধর্মীয় ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আর এসব বিদ্যালয়
মসজিদের সাথে বানানো হতো । বিজয়ী বীর মাহমুদের মতো সুলতান
সুলেমানও শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতিতে বিশাল ভূমিকা রাখেন। তার আমলে
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা শুধু রাজধানীতে চৌদ্দতে উন্নীত হয়। এসব
বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি ইসলামের নীতিসমূহের ভিত্তি শেখানো
হতো।

এরপর শিক্ষার্থীরা চাইলে বা মেধা থাকলে আটটি প্রধান মসজিদের
লাগোয়া তৈরি আটটি মাদ্রাসায় পড়তে পারত তারা । এগুলোকে বলা হতো
জ্ঞানের অষ্টম স্বর্গ । এখানে দশটি বিষয়ে পড়ানো হতো । এছাড়াও আরো উচ্চ
মান্রাসা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরবর্তীতে
ইমাম বা শিক্ষক হতো ।

ইউরোপীয় রেনেসীর এই শ্বর্ণযুগে জন্গ্রহণ করা সুলতান সুলেমান ছিলেন
ইসলামের খলিফা । তার চরিত্রে একই সাথে পূর্বের পবিত্র রাজকীর ভাব ও
পশ্চিমের মতো রাজকুমারসুলভ আভিজাত্য ছিল । সুলেমান ইস্তামুলকে প্রকৃতই
একটি রাজধানী রূপে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন।

তাই যত তার অভিঘান সফল
হয় ও করপ্রাপ্তির সম্ভাবনা বেড়ে যায়; ততই উন্নত স্থাপত্যবিদ্যার অনুসরণ
করে গোলাকৃতি সব গম্বুজ ও মিনারের সময়ে সুদৃশ্য সব মসজিদ তৈরি হতে
থাকে; যা আজ তার মৃত্যুর চার শতক পরেও অবিকৃত আছে। সুলতান মাহমুদ
বাইজেন্টাইন রীতি অনুসরণ করে যে স্থাপত্যরীতির সূচনা করেছিলেন
সুলেমানের সময়ে এসে তা পূর্ণতা লাভ করে।

এক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন ইতিহাসখ্যাত স্থাপত্যবিদ মীরমার
সিনান। আনাতোলিয়া থেকে আগত খিস্টান পাথুরে কারিগরের সন্তান সিনান
তরুণ বয়সে জানিসারিস হিসেবে ও সামরিক প্রকৌশলী হিসেবে সুলতানের
সাথে বিভিন্ন অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন ।

পধ্ঝাশ বছর বয়সে সুলতানের কাছে
প্রধান রাজকীয় স্থাপত্যবিদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে আসেন তিনি।
এরপর ষোড়শ শতকের সভ্যতার রীতি অনুযায়ী সুশ্রী ও সুশৃঙ্খলভাবে বিভিন্ন
মসজিদ। সমাধি স্থাপনা গড়ে তোলেন সিনান। এদের মাঝে অসাধারণ শ্রেষ্ঠ
হিসেবে প্রসিদ্ধ সুলতান সুলেমানের নিজস্ব রাজকীয় মসজিদ “সুলেমানিয়ে’।
সুলতানের রাজকীয় পৃষ্ঠপৌষকতায় সিনান কনস্টান্টিনোপল শহরকে পূর্ব ও
পশ্চিমের মাঝে সত্যিকারের অনুঘট্রক হিসেবে গড়ে তোলে ।
গোল্ডেন ইন থেকে সুলমানিয়ে মসজিদের দৃশ্য |

এই সময়ে অটোমান দালানের আভ্যন্তরীণ সাজসজ্জার জন্য পূর্ব থেকে
নকশাবিদকে আনা হতো । উজ্জ্বল ফুলের নকশাসমৃদ্ধ সিরামিক টাইলস্‌ দিয়ে
দেয়াল বানানো হতো। পূর্বে পারস্য থেকে আনা হলেও এ উদ্দেশ্যে পরে
তাবরিজ থেকেই আনা হতো এ টাইলস।

সুলতান মাহমুদের সময়কাল থেকেই সাহিত্যে পারস্য প্রভাব ছিল স্পষ্ট ।
এ রীতি সুলেমানের সময়ও বজায় থাকে । সুলতান সুলেমান কবিতার বিশেষ
সমঝদার ছিলেন। তীর পৃষ্ঠপোষকতার ক্ল্যাসিক অটোমান পদ্যরীতি নতুন
মাত্রায় উচ্চস্থান লাভ করে। বিভিন্ন এতিহাসিক ঘটনাসমূহকে লিপিবদ্ধ করার
জন্য রাজকীয়ভাবে পদ্য বিশারদদের নিয়োগ দিতেন সুলতান।

সুলতান সুলেমান নিজের অভিযান পরিচালনার কৌশল পরিবর্তন করেন। মধ্য
ইউরোপে অভিযান আর না বাড়িয়ে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে নিজের রাজত্বকে
স্থিরভাবে প্রতিষ্ঠা করেই তৃণ্ত থাকেন। এরপর এশিয়াতে নিজের রাজ্য বৃদ্ধির
সুলেমান ।

১৫১৮ সালে খায়েরিদ্দীন বারবারোসা ভূমধ্যসাগরে তুর্কিদের নৌ-
সেনাপতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৫৩৩ সালে সুলতান সুলেমান
বারবারোসার কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠেন। এ সময় খিস্টান বা
তুর্কিদের নৌ সীমা কোরোনে অনধিকার প্রবেশ শুরু করে। সুলতান সামরিক
ও নৌ-সেনাবাহিনী পাঠিয়েও ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে খ্রিস্টানরা এ বন্দর ছেড়ে
চলে গেলেও সুলতান উপলব্ধি করতে পারেন যে, স্থলপথে অভিযান পরিচালনা
ব্যস্ত থাকার ফলে তার নৌবাহিনী পশ্চিমের নৌবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করার মতো
ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে । তড়িৎ পদক্ষেপে নৌবাহিনীকে পুনরায় ঢেলে সাজানোর
প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন সুলতান। কেননা এ সময় পারস্যে অভিযান
পরিচালনার পরিকল্পনা করেন সুলতান ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button