Alparslan Buyuk Seljuk

Alparslan volume 14 bangla subtitles-আল্প আরসালান ভলিউম ১৪ বাংলা সাবটাইটেল

Alparslan volume 14 bangla subtitles

ভলিউম দেখতে পোষ্টের নিচে যান

এভাবে সুলতান প্রথম সেলিমের রাজত্বকাল। ভয়ানক নামেও তিনি
পরিচিত ছিলেন। সিংহাসনে বসার পর সুলতান সেলিম প্রথম যে কাজটি করেন
তা হলো নিজের দু’ভাইকে ধনুকের রশি দিয়ে শ্বীসরোধ করে হত্যা করেন।
শুধু তাই নয়, কামরা থেকে কান্নার চিৎকার শুনতে পেয়ে নিজের অনাথ
ভ্রাতুম্পুত্রদেরকেও হত্যা করেন। নিজের সিংহাসন নিরাপদ করে এরপর
সুলতান সেনাবাহিনীকে এশিয়াতে পাঠিয়ে ইউরোপে যাত্রা করেন।

ধর্মীয় উন্মাদ স্বভাবের সুলতান নিজের রাজ্য থেকে শিয়া মতবাদ উচ্ছেদে
বদ্ধপরিকর ছিলেন। তার প্রধান শত্রু ছিল পারস্যের শাহ ইসমাইল।
ইসমাইলের বিরুদ্ধে ধর্মযুদ্ধ শুরু করার পূর্বে আনাতোলিয়াতে ইসমাইলের
ধর্মীয় অনুসারী প্রায় চল্লিশ হাজার মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত করেন সেলিম।

Alparslan volume 14 bangla subtitles

যাত্রার প্রাক্কালে সুলতান প্রথম সেলিম বিভিন্ন ভাবে ইসমাইলকে উসকানি
দিতে চাইলেও ইসমাইল শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের কথাই বলতে থাকে । অবশেষে
চালদেরানে দু’পক্ষের মাঝে যুদ্ধ হলে সেলিম বিজয়ী হন। তাবরিজ শহর দখল
করে নির্বিচারে বন্দি হত্যা করলেও ইস্তাম্বুলের ব্যবসা ও অটোমান
স্থাপত্যবিদ্যাকে এগিয়ে নিয়ে কারিগরদের প্রাণে বাঁচিয়ে ইস্তাম্থুলে পাঠিয়ে দেয়া
হয়। এরপর আরো শহর ও ভূখণ্ড দখল করে পূর্ব আনাতোলিয়ার মালভূমি
দখল করে এশিয়াতে শক্তির ভারসাম্য স্থাপন করেন সুলতান সেলিম ।

পারস্যের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অস্ত্র হিসেবে সিন্ক ব্যবসা বন্ধ করে দেন।
এই ব্যবসাই ছিল দেশটির প্রধান রপ্তানির উৎস।
দেন। মামলুকবাসী অবশ্য অটোমানদের সমর্থন প্রদান করে। কেননা একদিকে ছিল
ইসমাইল হুমকি ও অন্যদিকে নৌপথে পর্তৃগিজরা তাদের অঞ্চলে অনুপ্রবেশ শুরু
করেছিল। তাই অটোমানদের কাছ থেকে কাঠ ও অন্যান্য উপাদান নিয়ে জাহাজ
তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে মামলুকরা।Alparslan volume 14 bangla subtitles

কিন্তু এরপর সেলিমের সেনাবাহিনী সিরিয়ার
সীমান্তে প্রবেশ শুরু করলে মামলুকদের বৃদ্ধ রাজা চুপ করে বসে না থেকে মিশর
থেকে উত্তরে সৈন্য নিয়ে রওনা হয়। এ ঘটনায় সেলিম আলে্পোর বিরুদ্ধে সৈন্য
নিয়ে রওনা হয়; পথিমধ্যে মামলুক রাজাকে যুদ্ধে পরাজিত ও হত্যা করে একে
একে দামাস্কাস, বৈরুত ও গাজা দখল করে নেন। এরপর মহানবীর সমাধি ও
জেরুজালেমে আব্রাহামের প্রস্তরখণ্ডে তীর্থযাত্রা করেন সেলিম ।

জয় করে নেয়া বিভিন্ন শহরে অটোমান গভর্নরদেরকে প্রশাসক হিসেবে
নিযুক্ত করে মিশর সীমান্তে এসে থেমে যান সুলতান সেলিম । তার সাথে ছিল
মামলুক রাজার পরাজিত সৈন্যরও আব্বাসীয় খলিফা । এদের সাথে নিয়ে
সুলতান মামলুক রাজার উত্তরাধিকারী তৃমান বে-কে পত্র লিখে জানিয়ে দেন
যে খলিফার মতানুসারে সুলতান সেলিম এখন মামলুক রাজ্যসমূহের প্রভু ।

কিন্তু তৃূমান বে আত্মসমর্পণ করতে প্রত্যাখ্যান করে ও নিজেকে মামলুক
খুণতান রূপে ঘোষণা করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সুলতান সেলিম সিনাই মরুভূমি
পার হয়ে প্রাথমিক একটি যুদ্ধে জয়লাভ করেন। এরপর খলিফাকে কায়রোতে
মিশরের জনগণকে ভয় না পেয়ে শান্ত রাখার চেষ্টা করতে পাঠান। এর পরের
পিন শুক্রবারের নামাজে সুলতান সেলিমের নাম উচ্চারণ করা হয়। এর পরের
কয়েক দিন কায়রো ও এর আশপাশের যুদ্ধে তৃূমান বে পরাজিত হয় ও তাকে
শহরের দরজায় হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়।Alparslan volume 14 bangla subtitles

সেলিম কায়রোতে ছয় মাস অতিবাহিত করে মিশরের ভাগ্য নির্ধারণ
করেন। এরপর ১৫১৭ সালের গভর্নর জেনারেলের হাতে শাসনভার অর্পণ
করে পুনরায় ইস্তাম্বুলে ফিরে যান।

এই অভিযানের সবচেয়ে গুরুত্পূর্ণ দিক ছিল যে কায়রো থেকে মহানবীর
পরিচ্ছদ ও স্তম্ভ ইস্তাম্বুলে নিয়ে যাওয়া হয়। আর এর মাধ্যমে সুলতান মক্কী,
মদিনা ও হজ্বে যাওয়ার পথসমূহ সাধারণভাবে ইসলাম রক্ষার দায়িত্ব পেয়ে
যান। এর মাধ্যমে সুলতান নিজেকে ইসলামের প্রধান বলে দাবি করা শুরু
করেন। পূর্বে মামলুক সুলতানরা এ দাবি করত | এভাবে সুলতান সেলিম সমগ্র
মুসলিম বিশ্বের শক্তিশালী প্রভূতে পরিণত হন। তান্তিকভাবে বাকি সবাই তার
শাসনাতলে প্রজা হয়ে যায়।Alparslan volume 14 bangla subtitles

এর দুইবছর পরে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে সুলতান মারা যান। জীবিত
থাকাকালীন বিশাল শরীর। নিষ্ঠুর চরিত্র, ভয় সৃষ্টিকারী বড় বড় চোখের
সুলতান সেলিম মানবজীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ ছিলেন।

এ কারণে সুলতান সেলিমের প্রধান উজিরদের জীবন ও কর্মজীবন ছিল
খুবই সংক্ষি। মোট প্রধান উজিরদের মাঝে সাতজন অন্যান্য কর্মচারী ও
জেনারেলসহ মৃত্যুবরণ করেন সুলতানের নির্দেশে । এই কারণে প্রধান
উজিরদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল নিজেদের শেষ ইচ্ছাপত্র সাথে নিয়ে ঘোরা;
কেননা সুলতানের মর্জি হলেই তাদের প্রাণ চলে যেত।

Alparslan volume 14 bangla subtitles

চরিত্রের এতসব নিষ্ঠুরতা সত্তেও সুলতান সেলিম ছিলেন শিল্পরসঙ্ঞ
ব্যক্তি। সাহিত্যের অনুরাগী ও কবিতার মেধা ছিল তীর। স্বাধীনভাবে বিদ্বান
ব্যক্তিদের দেখভাল করতেন সুলতান। নিজের সাথে যুদ্ধের সময়েও
ইতিহাসবিদ ও কবিদের সাথে নিয়ে যেতেন।

মোটের ওপরে তিনি একজন বীর যোদ্ধা ছিলেন। ইসলামিক এশিয়া ও
খ্রিস্টান ইউরোপে নিজের পূর্বপুরুষদের জয় করা সাম্রাজ্যের শক্তির ভারসাম্য
রক্ষার পাশাপাশি এক দশকেরও কম সময়ে সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি দ্বিগুণ
করেছেন।

সুলতান আহমেদ মসজিনে (নীল) নবীজির জন্দিন উৎসব

চিত্র। এছাড়া এর আভ্যন্তরীণ নকশা ও সুন্দরভাবে ফুটে উঠছে এ চিত্রে ।

কাকতালীয়ভাবে অটোমান সালতানাতে সুলেমানের অভিষেক এমন এক সময়ে
ঘটে যখন ইউরোপের সভ্যতাতেও নতুন এক দিক উন্মেচিত হয়েছিল।
রেনেসার সোনালি আলো এসে ইউরোপ থেকে মধ্যযুগীয় অন্ধকার ও মৃতপ্রায়
সামন্তবাদী প্রতিষ্ঠানসমূহকে হটিয়ে দেয়। ব্যক্তিগত ক্ষমতার স্পর্শে অসাধারণ
সব নেতার কল্যাণে সভ্য সব শক্তির উত্থান ঘটে এ সময়ে ইউরোপে । তাই
ষোড়শ শতক হচ্ছে পঞ্চম চার্লস অষ্টম হেনরি, টিউডর এবং দ্বিতীয় সলেমান”
নামে খ্যাত ছাব্বিশ বছর বয়সী সুলতান সুলেমানের সময় |

ক্ষেত্রে এক অবিচ্ছেদ্য উপাদান। আর ইসলামিক পূর্বে মহাগৌরবই ছিল তীর
ভাগ্যলিপি। দশম অটোমান সুলতান হিসেবে মুসলিমদের চোখে দশ সংখ্যার
সকল আশীর্বাদ বহন করছিলেন তিনি- মানুষের হাত-পায়ের দশ আঙুল- দশ
অনুভূতি, কোরআনের দশ অংশ, পেন্টাটিউকের দশ আজ্ঞা, নবীর দশ শিষ্য
ইসলামিয় স্বর্ণের দশ আকাশ এবং পথপ্রদর্শক দশ আত্মা। প্রাচ্যদেশীয় এতিহ্য
অনুযায়ী প্রতিটি শতকের শুরুতে একজন মহামানব জন্গ্রহণ করেন, যিনি
নিজের আলোয় সবাইকে আলোকিত করেন। আর ষোড়শ শতক তাই স্বর্ণের
দেবদূত সুলতান সুলেমানের |Alparslan volume 14 bangla subtitles

কনস্টান্টিনোপলের পতন ও সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদের বিভিন্ন বিজয়
অভিযানের পর পশ্চিমা বিশ্ব তুর্কিদের রুখতে বিভিন্ন কৌশল ভাবতে থাকে।
সামরিকভাবেই নয়, বরঞ্চ কুটনৈতিকভাবে এ চিন্তা শুরু করে তারা । ইটালিয়ান
রাষট্রসমূহের মাঝে কুটনীতির ক্ষেত্রে অটোমান আক্রমণের হুমকি, গোপন
অটোমান মৈত্রী জোট প্রভৃতি গুরুতৃপূর্ণ অস্ত্র হিসেবে কাজ করে।

Alparslan volume 14 bangla subtitles

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button