Alparslan Episode 34 Bangla Subtitles – Osmanonlinebangla
আল্প আরসালান ভলিউম ৩৪ বাংলা সাবটাইটেল
এই পর্বের শুরু থেকে টেকফুর বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। পর্বের শুরুতে টেকফুরের মেয়ে ফ্লোরা তার বাবার কাছে আসার খবর আগে থেকে আরসালান ইউসুফ জানতে পেরে তাকে অপহরন করলে টেকফুর আলপাগুত ও ইনাল বে কে নিয়ে ফ্লোরা কে উদ্ধার করতে এসে ইনাল বে এর জীবন হুমকির মুখে ফেলে।
কারন আরসালান ইউসুফ টেকফুরের মেয়েকে ছেড়ে দেয়ার জন্য শর্ত দেয়।
তার শর্ত হলো ইনাল বে কে হত্যা করলে সে ফ্লোরা কে ছেড়ে দিবে। এমন সময় আল্প আরসালান বে সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং আলেকজান্ডার তার বোন কে নিয়ে চলে আসে। টেকফুরের সাথে তখন আল্প আরসালান এর কথোপকথন হয়।
আল্প আরসালান বে এই মিমাংসা করে দেওয়ার পরে সে ইনাল বে কে ফেরত দিতে বলে তখন টেকফুর বলে আমি কাউকে আটকে রাখি নাই। ইনাল বে চাইলে চলে যাবে। কিন্তু ইনাল বে না এসে বরং টেকফুরের সাথে চলে যায়।
আসলে ইনাল বে কে টেকফুরের কাছে আল্প আরসালান বে ই পাঠিয়েছে গোপন কাজ দিয়ে।
যাতে সে এ্যানী দুর্গে বিজয় করতে পারে। টেকফুরের সন্দেহ যাতে না হয় সে জন্য আল্প আরসালান বে এই কাজটি করে।
Alparslan Buyuk Selcuklu Episode 34 Bangla Subtitle
সুলতান তুগরুল এর আগমন ঘটে এবং সে পথে থাকা অবস্থায় খবর পায় যে ইনাল বে টেকফুরের দুর্গে আশ্রয় নিয়েছে। তাই সে দুইজন সৈন্য পাঠায় আল্প আরসালান এর কাছে এই খবর নিশ্চিত হওয়ার জন্য। যুবরাজ মারওয়ান তাকে স্বাগত জানায়। যুবরাজ মারওয়ান সুলতানকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে।
সে সুলতানের খাবারে বিষ দেয় এবং সুলতানের সাথে আসা সৈন্যদের একটি ঘরে নিয়ে বন্দী করে রাখে।
রাতে খাবারের পরে সুলতান তার কক্ষে গেলে সে বুঝতে পারে তখন সে তার বিছানায় যুবরাজ মারওয়ান কে শুয়ে দেয় এবং সে আড়ালে লুকিয়ে থাকে। খুনিরা ঘরে ঢুকে বিছানায় শুয়ে থাকা ব্যক্তির বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পরে যখন কাপড় সরিয়ে দেখতে পায় তারা যুবরাজ মারওয়ান কে হত্যা করেছে তখন তারা হতবাক হয়ে যায়।
সুলতান তখন তাদের ওই রুমেই হত্যা করে এবং সুলতান কক্ষ থেকে বের হয়ে তার সৈন্য দের খুজতে থাকে।
এভাবে সুলতান খুজতে থাকে এবং সবশেষে তার সৈন্য দের সে একটি কক্ষে বন্দী অবস্থায় পেয়ে যায়।
টেকফুর আলপাগুত এর সাথে পরামর্শ করে বুঝতে চেষ্টা করে কেন ইনাল বে তার কাছে আশ্রয় নিয়েছে।
আলপাগুত তাকে বুঝায় যে সে আল্প আরসালান এর পর সিংহাসনের সবথেকে বেশি যোগ্য। তাই আল্প আরসালান কে হত্যা করতে ইনাল বে একটি সৈন্য বাহিনী গড়ে তুলেছে এখন সে আপনার সৈন্য পেলে এই আক্রমণ চলিয়ে সদরদপ্তর দখলে নিতে পারবে।
ইনাল বে আলেকজান্ডার কে বুঝাতে সমক্ষ হয় যে যদি সে তাকে সৈন্য দেয় তাহলে সে সদরদপ্তর দখলে নিতে পারবে। আর যেহেতু আমি আগে সদরদপ্তরে কাজ করেছি তাই সেখানের সকল দুর্বল দিকগুলো আমার জানা। আলেকজান্ডার ইনাল বের কথায় আশ্বস্ত হন।ইনাল বে এর স্ত্রী ওখে খাতুন এর তার স্বামীকে নিরপরাধী প্রমান করতে খুব চেষ্টা করে। সে সব সময় আরসালান ইউসুফ বে কে চোখে চোখে রাখে।
আরসালান ইউসুফ যখন ইনাল বে কে হত্যা করতে পারলো না তখন সে তার স্ত্রীর উপর চড়াও হয়। এর মাঝে একবার তর্কের পর্যায়ে থেকে দুইজন ই তাদের ছুরি বের করে অন্যকে হত্যা করার জন্য সৈন্যরা দেখে ফেললে তারা তাড়াতাড়ি ছুটে এসে তাদের দুইজন কে দুরে সরিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে আরসালান ইউসুফ কে আল্প আরসালান এর কাছে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সে বলে ওখে হাতুন এর সাথে সে এখানে থাকতে পারবে না তাই তাকে সদরদপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হোক অথবা ওখে হাতুন কে অন্য কোথায়ও পাঠিয়ে দেওয়া হোক। তখন আল্প আরসালান বে বলেন ওখে হাতুন কোথায়ও যাবে না। তখন চারী বে বলেন যাও তুমি সদরদপ্তরে গিয়ে কাজে মন দাও।
এই সদরদপ্তরে যাওয়ার পিছনে আছে গভীর ষড়যন্ত্র যা সে আলেকজান্ডার এর সাথে পরিকল্পনা করে এসেছিল। আরসালান ইউসুফ বে কে এই সকল ষড়যন্ত্র না করার জন্য তার মেয়ে সেফেরিয়া বারবার তাকে অনুরোধ করে।
এমনি কি সেফেরিয়া হাতুন তার বাবার পিছনে অনুসরন করতে করতে অনেক দুর সুরমারী বাজারে চলে আসে এবং দূর্গের প্রহরীদের দরজা খুলতে বলে। তখন তাকে অনুসরন করা আল্প আরসালান ও ওখে হাতুন পিছন থেকে ডাক দেয় এবং ভিতরে যেতে নিষেধ করে।
ওখে হাতুন সেফেরিয়ার উপর অভিযোগ করে যে বাবার অনৈতিক কাজে মেয়েও সাহায্য করছে।
পরবর্তী তে তারা দূর্গের বাহিরে আড়ালে লুকিয়ে থাকে। আরসালান ইউসুফ বে দূর্গ থেকে বাহিরে এলে তাকে আল্প আরসালান সহ সকলে ঘিরে ফেলে। আল্প আরসালান বে এর সাথে আরসালান ইউসুফ বে এর কথা বিনিময় হয় এবং তর্ক হতে থাকে তারপর তাকে ঘোড়া ছাড়া হাটিয়ে নিয়ে যেতে আদেশ দেন। আলেকজান্ডার ব্যবসায়ী রাজেন কে দিয়ে একটি খবর আল্প আরসালান এর কাছে পৌছাতে বলে যে তারা একটি গ্রামে হামলা করবে।
এটা একটি ফাঁদ।
এই খবর শুনে যখন আল্প আরসালান ওই গ্রামে যাবে তখন সদরদপ্তরে সৈন্য সংখ্যা কম থাকবে আর
তখন ইনাল বে সৈন্য নিয়ে সদরদপ্তর দখলে নিবে। ব্যবসায়ী রাজেনকে টেকফুর তারপর আলেকজান্ডার আর শেষে ইনাল বে তাদের কথা আল্প আরসালান কে পৌছে দিতে বললেও রাজেন এর স্ত্রী ও মেয়ে টেকফুরের কাছে বন্দী থাকায় সে টেকফুরের কথা মতো তার শিখানো কথা বলে। পরে আল্প আরসালান বের সন্দেহ হলে তাকে আবার একা জিজ্ঞেসাবাদ করে। তারপর সে ইনাল বের কথা বলে। তখন আল্প আরসালান সব বুঝতে পারে যে সে বিপদে আছে।
পরের দিন সকালে আলেকজান্ডার এর সৈন্য নিয়ে ইনাল বে সদরদপ্তরের কাছে গেলে সে সৈন্যদের উদ্দেশ্যে বলে সব কিছু তার কাছে ভালে লাগছে না তখন পিছন থেকে আল্প আরসালান সৈন্য সহ আক্রমণ করে এবং সকলকে হত্যা করে। তারপর ইনাল বে সেখানে থেকে যায় এবং আল্প আরসালান,চারীবে, আতাবপ সহ সকলে সুরমারি তে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে কাউকে পায় না। সবাই বুঝতে পারে এটা একটা ফাঁদ।
তখন পিছন দিক দিয়ে টেকফুর, আলেকজান্ডার সহ সকল সৈনিক প্রধান ফটক আটকিয়ে দেয়।
আর এই জমজমাট উত্তেজনাপূর্ন মূহুর্তের মধ্যে দিয়ে এই পর্ব শেষ হয়।