Kurulus Osman

কুরুলুস উসমান ভলিউম ৮৮ বাংলা সাবটাইটেল – উসমান গাজী

ভলিউম নিচে

খ্রিস্টানদের বিজয়ে ইউরোপ উল্লাসে ফেটে পড়ে। কিন্তু এর কিছুদিন
পরই প্রেগে আক্রান্ত হয়ে হুনযাদী ও কাপিসট্রানো মৃত্যুবরণ করে । কয়েক মাস
পরে জর্জ ব্রাক্কোভিটজ্‌ বৃদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করলে সাবীয়া দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে
পড়ে। এক অংশ ছিল হান্দেরির সমর্থক, আরেক অংশ অটোমান সমর্থক ।
এরপর সফল অভিযানের মাধ্যমে মাহমুদ একে অটোমান সাম্রাজ্যের সাথে যুক্ত
করেন, যা টিকে ছিল পরবর্তী পাচ শতক পর্যস্ত।

১৪৫৭ সালজুড়ে বেলগ্রেডের অসফল অভিযানের পর মাহমুদ আর
কোথাও অগ্রসর হননি। এর বদলে আদ্রিয়ানোপলে নিজের প্রাসাদে থাকাই
মনস্থির করেন সুলতান ।

১৪৫৮ সালে সুলতান প্রথমবারের মতো গ্রিস অধিগ্রহণে অগ্রসর হন।
এখানে বেশির ভাগ বাইজেন্টাইন শাসক শ্রেণী শরণার্থী হিসেবে মোরিয়ার দুই
প্রান্তে পালাইয়োলগের দুই জীবিত বংশধর দিমেট্রিয়াস এবং থমাসের অধীনে
সুলতানের বাহিনী এগিয়ে চলে। পশ্চিম মোরিয়ার বেশির ভাগ অংশ দখল

করে নিলেও করিন্থের প্রধান দুর্গ উত্তর মুখে ফিরতি যাত্রার আগে আক্রমণ
করেননি। এখানকার অধিবাসীদের কাছে ইসলামে ধর্মীত্তরিত না হয়েও
আত্মসমর্পণের প্রস্তাব করা হয়। প্রত্যাখিত হয়ে দুর্গের দেয়ালে কামানের গোলা
ফেলা হলে প্রথম দুটি দেয়াল ছিদ্র হয়ে যায়। দুর্গবাসী আত্মসমর্পণ করলে দুই
পালাইয়োলগ চুক্তিতে আসতে বাধ্য হয়। চুক্তি মোতাবেক কিছুটা জমির ওপর
মালিকানা থাকলেও নিয়মিত কর প্রদানে বাধ্য করা হয়।

এরপর সুলতান এথেন্স ভ্রমণ করেন। দুই বছর পূর্বে তুর্কিরা এ শহর
দখল করে নিয়েছিল। মাহমুদ বিশেষ করে দুর্গসমূহকে বেশ প্রশংসা করতেন।
এথেন্সবাসীর প্রতি সুলতান ছিলেন বেশ উদার । নাগরিক স্বাধীনতা রক্ষা, কর
মওকুফ প্রভৃতি সুবিধা দিলেও ল্যাটিন গির্জার ভাঙনে খুশি হয়ে সুলতান
অর্থডক্স যাজক সম্প্রদায়কে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করেন!

১৪৬০ সালে মাহমুদ আরো একবার থিসে পর্দাপণ করেন সৈন্যবাহিনী
সহযোগে । দিমেট্রিয়াস প্রথমে সুলতানের কাছ থেকে পালিয়ে গেলেও
পরবর্তীতে আত্মসমর্পণ করে। এরপর মাহমুদ টমাসের বিরুদ্ধে অগ্রসর হলে
টমাস নিজের লোকদের তুর্কিদের হাতে রেখে পশ্চিমে পালিয়ে যায়।

এভাবে পুরো গ্রিক দ্বীপপুণ্জের ওপর তুর্কিদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়।
কেবল কিছু উপকূলীয় অঞ্চল রয়ে যায় ভেনেশীয়দের হাতে ।
পুন্জীবন দিতে গিয়ে তুর্কি ইতিহাসবিদদের লেখা অনুযায়ী_-এমন কাউকে
জীবিত রাখেননি, বাইজেন্টাইন প্রিকদের মাঝে যে নিজেকে রাজা হিসেবে দাবি
করতে পারে ।

পালাইয়োলগদের পর এবার আসে কমনেনস্দের পালা । বিশিষ্ট
কমনেন সম্রাট চতুর্থ জনের মৃত্যুর পর ছোট ভাই সম্রাট ডেভিড সুলতানের
বিরুদ্ধে গিয়ে সুলতানের শত্রুদের সাথে মিত্রতা গড়ে তোলে । এদের মাঝে
ছিল ইউরোপীয় ভেনিস, জেনোয়া ও পোপতন্ত্র আর এশিয়াতে সুলতানের
প্রধান শক্র তুর্কমান রাজকুমার উজুন হাসান। হাসান মুসলিম হলেও খ্রিস্টান
রক্ত বহন করে কমনেনদের সাথে বিবাহ সূত্রে আত্মীয়তা করেছে। পূর্ব
আনাতোলিয়াতে অটোমানের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধে ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে
হাসান। তার সাথে যুক্ত হয়েছে সিনোপ, কারামানিয়ার রাজকুমার ও খ্রিস্টান
জর্জিয়ার রাজা ।

ডেভিড উজুন হাসানের দূতের মাধ্যমে ইস্তাম্ুলে সুলতানের কাছে দাবি
জানান পিতার আমলের কর মওকুফের জন্য । হাসান নিজেও অনেক কিছু
দাবি করে বসে। ফলে মাহমুদ সিদ্ধান্ত নেন যে এবার সময় হয়েছে এ
অপবিত্র মৈত্রীজোট ভেঙে দিয়ে আনাতোলিয়াতে অটোমানদের স্বার্থ রক্ষা
করার ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button