Kurulus Osman

Kurulus Osman bolum 83 Bangla Subtitles – কুরুলুস উসমান ভলিউম ৮৩ বাংলা সাবটাইটেল

কুরুলুস উসমান ভলিউম ৮৩ বাংলা সাবটাইটেল

ভলিউম দেখতে পোষ্টের নিচে যান

সুলতান সুলেমান ইব্রাহিম পাশার ওপর নির্ভর করেছেন আত্মবিশ্বাসের সাথে।
কিন্তু সৈন্যরা বেলগ্রেডের কাছে পৌছালে দেখা যায় সাভার সেতু তুলে ফেলে
দানিযুবের উত্তর ও দক্ষিণ মুখে শক্ররা অবস্থান নিয়েছে। সুলেমান ইব্রাহিম
পাশাকে নির্দেশ দেন শহর ও এর দুর্গসমূহ দখল করতে । কিছু সংখ্যক
সংঘর্ষের শেষে ইব্রাহিম এ কাজে সফলতা লাভ করে।

এরপর সুলেমান ও তাঁর সৈন্যদল দ্রাভা নদীর দক্ষিণে নদী বরাবর এগিয়ে
চলেন। কিন্তু একের এক এক সীমান্ত দুর্গ তুর্কিরা দখল করে নেওয়ায় ও
রসদের অভাবে হাঙ্গেরিয়রা একত্রিত হয়ে কোনো আক্রমণ পরিকল্পনা করতে
পারেনি। ইসেক-এর অধিবাসীরা প্রায় নিজেদের ইচ্ছাতেই সুলতানের কাছে
আত্মসমর্পণ করলে সুলতান নৌকা দিয়ে সেতু বানানোর নির্দেশ দেন। এ
ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ মত দেন যে এ কাজে অন্তত তিন মাস লেগে যাবে। কিন্তু
প্রধান উজিরের বুদ্ধিমত্তার ফলে তিন দিনে সম্পন্ন হয় কাজ।

Kurulus Osman bolum 83 Bangla Subtitles

সৈন্যরা এর ওপর
দিয়ে পার হওয়ার সাথে সাথে সেতুটি ধ্বংস করে দেয়া হয় সুলতানের
নির্দেশে । এতে করে যুদ্ধক্ষেত্রে অবিচল থেকে যুদ্ধ করবে সৈন্যরা” পালিয়ে বা
পিছিয়ে আসার কোনো মনোবৃত্তি থাকবে না তাদের মাঝে ।
করে। কিন্ত এতে তেমন একটা সুবিধা করতে পারে না হাঙ্গেরিয়রা। কেননা
প্রোটেস্ট্যান্ট ভায়েটদের মাঝে অনেকেই সুলতান নয়, বরঞ্চ পৌপকে নিজেদের
বড় শক্র হিসেবে বিবেচনা করত। এর ফলে ডায়েট অভ ওয়ার্মস ও ডায়েট অভ
স্পেয়ার বেলগ্রেড শহর রক্ষার্থে মোহাকে সৈন্য দিতে অস্বীকৃতি জানায়।

তাই যুদ্ধক্ষেত্রে হাঙ্গেরিয় সেনাপ্রধান বুদা পর্যন্ত পিছিয়ে তুর্কিদের ও
তাদের অনুসরণ করানোর পরিকল্পনা করে। কিন্তু হাঙ্গেরিয়দের বেশির ভাগই
অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাসী হয়ে তুর্কিদের বিরুদ্ধে তৎক্ষণাৎ সামরিক বিজয়ের
স্বপ্ন দেখতে থাকে ।

যুদ্ধনীতির মতো যুদ্ধ কৌশলে ক্ষেত্রে ও অধের্য হয়ে দানিয়ুবের দক্ষিণ
প্রান্তে যুদ্ধক্ষেত্রে ভারী অস্ত্রে সঙ্জিত অশ্বারোহী সৈন্যদল রাজা লুইসের নেতৃত্বে
সরাসরি তুর্কি লাইনের মাঝখানে আঘাত হানে। এতে সফল হয়ে হাঙ্গেরির
সৈন্যরা দল বেঁধে আক্রমণ করে। কিন্তু এটি ছিল তুর্কিদের রচিত ছলনা ।
প্রধান সৈন্যদের লুকিয়ে রেখেছিল। এর ফলে অগ্রগামী হাঙ্গেরিয় সৈন্যরা
সরাসরি জানিসারিস ও সুলতানের সৈন্যদলের হাতে গিয়ে পড়ে। ভয়ংকর যুদ্ধ
শুরু হয়। এভাবে মাত্র দেড় ঘন্টার মাঝে যুদ্ধে জয় লাভ করে তুর্কিরা।

হাঙ্গেরির রাজা যুদ্ধক্ষেত্রেই প্রাণত্যাগ করেন। যেহেতু তার কোনো
উত্তরাধিকারী ছিল না; তাই তার রাজ্যেরও তার সাথেই অবসান ঘটে।

সুলেমান রাজার মৃত্যুতে নিজের ভাব প্রকাশ করেন এভাবে-_“আল্লাহ তাকে
কুপথে পরিচালিত করেছে। জীবন এবং রাজত্রে স্বাদ গ্রহণের সময় এভাবে
তার মুত্যু হয়েছেঃ এটা আমার কখনোই ইচ্ছা ছিল না।”

এই যুদ্ধ জয়ের ফলে ইউরোপের মাঝে পরবর্তী দুই শতাব্দী পর্যন্ত তুর্কিরা
প্রধান শক্তি হিসেবে রাজত্ব করে। সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখে সুলতান বৃদাতে
প্রবেশ করেন।

বুদা শহরজুড়ে আগুন লাগিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়। শুধু
রাজপ্রাসাদে সুলতান অবস্থান নেওয়ায়, প্রাসাদটি রক্ষা পায়। এখানে ইব্রাহিম
পাশার সৈন্যদের কাছ থেকে সুলতান তার সম্পদসমূহ গ্রহণ করেন। এর মাঝে
ছিল ম্যাথিয়াসের ইউরোপ বিখ্যাত লাইব্রেরি; ডায়ানা, আযাপোলো ও
হারকিউলিসের ব্রোঞ্জের মূর্তি ও বিজয়ী বীর সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদের ফেলে
যাওয়া দুটি বিশাল কামান।

এর পর সংগীত, শিকার ও আমোদ-প্রমোদ মেতে উঠেন সুলতান ।
্ীষ্মকাল থেকেই তার সৈন্যরা দানিযুবের প্রতিকূল আবহাওয়ার সাথে যুদ্ধ করে
আসছে। আর এখন শীতকাল আসন্ন হওয়ায় ও প্রয়োজনীয় লোকবল না
থাকায় নতুন জয় করা এ দেশ নিয়ন্ত্রণে সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও
দেওয়ার পর সৈন্যদের নিয়ে নদীর দক্ষিণ পাড় দিয়ে ঘরের দিকে যাত্রা করেন।

কিন্তু সুলতানের ছেড়ে যাওয়া হাঙ্গেরিতে রাজনৈতিক ও রাজবংশীয়
শূন্যতা সৃষ্টি হয়। শ্র শূন্যতা পূরণে এগিয়ে আসে আর্চডিউক ফার্দিনান্দ, স্মাট
পঞ্চম চার্লসের ভাই এবং রাজা লুইসের ভগ্মিপতি। তার বিরোধি হিসেবে
আবির্ভাব ঘটে ট্রান্সসিলভানিয়ার শাসক রাজকুমার জন।

কিন্তু উভয়ের পরিকল্পনা সফল হওয়ার পেছনে প্রয়োজন পড়ে তুর্কি
সহায়তার। এক্ষেত্রে জন ইস্তাম্বুলে দূত পাঠানোর পর সুলতান তার সাথে
একটি চুক্তি করেন। এ চুক্তি মোতাবেক জন সুলতানের প্রজা-রাজায় পরিণত
হয়ে বার্ষিক কর প্রদানে সম্মত হয়।

অন্যদিকে ফার্দিনান্দও ইন্তাসুলে দূত পাঠালে পর সুলতান তাদের দাবিতে
ক্ষুব্ধ হয়ে সকলকে কারাগারে নিক্ষেপ করেন ।

এরপর সুলতান দানিয়ুব উপত্যকায় জনের সাহায্যার্থে তৃতীয় একটি
অভিযানের পরিকল্পনা করেন। জার্মানি গাথা রচিত হয় এ উপলক্ষ্যে-_

১৫২৯ সালের মে মাসের ১০ তারিখে ইবাহিম পাশার নেতৃতে পূর্বের
তুলনায় বড় এক সেনাবাহিনী নিয়ে ইস্তাম্বুল ত্যাগ করেন সুলতান সুলেমান।
এরপর মোহাকের ভূমিতে জন এসে জড়ো হয় ছয় হাজার সৈন্য নিয়ে
সুলতানকে অভিবাদন জানাতে । সেপ্টেম্বর মাসের ২৭ তারিখে সুলতান
ভিয়েনার দেয়ালের কাছে পৌছান। শহরবাসী অবশ্য এর অনেক আগে থেকেই
দিগন্তজুড়ে পুড়ে যাওয়া গ্রামসমূহে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে
পেয়েছিল। এর একটু পরেই দেয়ালজুড়ে মুসলিমদের সাদা তবু দৃষ্টিগোচর
হয়ে ওঠে 17

ভিয়েনার প্রতিরক্ষার জন্য ফার্দিনান্দ যথাযথ সৈন্য জড়ো করতে
অসমর্থ হয়। আর তাই সৈন্য জোগাড়ের উদ্দেশ্যে ফার্দিনান্দ ব্যক্তিগতভাবে
বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরতে থাকেন। অস্টিয়াতে প্রতি দশজনের একজন
সৈন্যদলে নাম লেখায়। কিন্তু এটি যথার্থ ছিল না। এছাড়াও জার্মানির
রাজকুমার ও সৈন্য দিয়ে সাহায্য করে ফার্দিনান্দকে।

ফার্দিনান্দ ডায়েট
অব স্পেয়ারেও সাহায্যের আকুতি জানালে শেষ পর্যস্ত প্রোটেস্ট্যান্ট এবং
ক্যাথলিকরা একত্রিত হয়ে সম্মতি প্রদান করে। এই কাজে কিছুটা সময়
অতিবাহিত হয়। এরই মাঝে বৃষ্টির কারণে সুলতানের বাহিনী পৌছাতে
দেরি করে বিধায় তুর্কি আক্রমণের মাত্র তিন দিন আগে প্রায় বারো থেকে
বিশ হাজারে উন্নীত হয় ভিয়েনার প্রতিরক্ষা সৈন্য সংখ্যা । এদের নেতৃতে
ছিল প্রায় পঞ্চাশ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ইটালিয় সাহসী কাউন্ট
নিকোলাস ভন সাম

খুব দ্রুত কিন্তু দক্ষতার সাথে ভিয়েনার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।
শহরের মধ্যযুগীয় দেয়াল ছিল মাত্র ছয় ফিট পুরু; এর পাশাপাশি নতুন করে
শশ ফিট উচু দেয়াল তৈরি করা হয়। দেয়ালের গায়ে লাগোয়া বাড়িঘর ধ্বংস
শদে ফেলা হয়। এছাড়াও শত্রুর সভ্ভাব্য নিশানা ধ্বংস করার জন্য কামানের
গঞ্জের আওতায় পড়ায় প্রায় আটশ বাড়িঘর নষ্ট করে ফেলা হয়। এর মাঝে
শহর হাসপাতাল, গির্জা, আশ্রম, প্রাসাদ সবই ছিল। বিভিন্ন বাড়িঘরের ওপর
কে দাহ্য ছাদ সরিয়ে ফেলা হয়।

Kurulus Osman bolum 83 Bangla Subtitles

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button