Uncategorized

দেস্তান পর্ব ১২ বাংলা সাবটাইটেল – Destan Volume 12 Bangla Subtitles – উসমান অনলাইন

দেস্তান পর্ব ১২ বাংলা সাবটাইটেল

ভলিউম দেখতে পোষ্টের নিচে যান

সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর পরই কাফতান (লম্বা এক ধরনের
পোশাক) পরিয়ে দেয়া হতো সুলতানকে। পছন্দসই ভূত্যের হাতে কাপড় পরে
এক পকেটে বিশটি স্বর্ণমুদ্রা ও অন্য পকেটে হাজার রৌপ্য মুদ্রা নিয়ে দিন শুরু
হতো সুলতানের । বালক ভূত্যরা লম্বা ট্রেনের মতো করে লাইন ধরে সুলতানের
তিন বেলার খাবার নিয়ে আসত। সুদৃশ্য পোর্সেলিন ও রুপার পাত্রে
পরিবেশনকৃত খাবার সম্ভাব্য বিষ চিকিৎসার কথা মাথায় রেখে পাশে একজন
ডাক্তার নিয়ে একাকী খেতেন সুলতান ।

প্রায় প্রতি রাতে ভিন্ন ভিন্ন শোবার রুমে নিদ্রা যেতেন সুলতান নিরাপত্তার
কথা মাথায় রেখে।দেস্তান পর্ব ১২ বাংলা সাবটাইটেল

দিনের বেশির ভাগ সময় ব্যয় করতেন সরকারি কর্মচারী আর দর্শনার্থীর
সাথে সাক্ষাতের মাধ্যমে । অবসর সময়ে মহাবীর আলেকজান্ডারের ওপর লেখা
শই, ধর্মীয় বা দর্শন নিয়ে লেখা বই, সংগীত শুনে সময় কাটাতেন সুলতান ।
এছাড়াও প্রিয় কোনো সভাসদ বা সঙ্গীর সাথে প্রাসাদের উদ্যানে সময়
‘[টাতেন ভালোবাসতেন সুলতান সুলেমান । দেস্তান পর্ব ১২ বাংলা সাবটাইটেল

এছাড়াও সর্বসাধারণের সামনে আয়োজিত যে কোনো অনুষ্ঠানে বিশাল
আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন ও শান-শওকত পছন্দ করতেন সুলতান সুলেমান। এ
প্রসঙ্গে উদাহরণ হিসেবে বলা যায় তিন সপ্তাহব্যাপী জীকজমকভাবে পালন
করা হয় সুলতানের পাঁচ পুত্রের সুন্নতের অনুষ্ঠান। এছাড়াও প্রধান উজির
ইব্রাহিম পাশার বিবাহেও দুহাত ভরে খরচের মাধ্যমে বিপুল আয়োজন করেন
সুলতান সুলেমান।

প্রধান উজির ইব্রাহিম পাশীকে সাথে নিয়ে ১৫৩৬ সালে ক্ষমতার শেষ
দিন পর্যন্ত কুটনৈতিক কাজ পরিচালনা করেছেন সুলতান সুলেমান । পূর্ব-
পুরুষদের কোনো এক প্রাদেশিক গভর্নর বা সেনা-বিচারকদের মধ্য থেকে
প্রধান উজির নির্বাচিত করার রীতি থেকে বের হয়ে সুলতান নিজের প্রাসাদ
কর্মচারী ইব্রাহিম পাশাকে প্রধান উজিরে হিসেবে নিয়োগ দেন।

বিদেশি শাসক
ও তাদের দূতদের মাঝেও ইব্রাহিম পাশার পদমর্ধাদা ও প্রভাব ছিল অনেক
শক্তিশালী । ফ্রান্সিস এবং ফার্দিনান্দ উভয়েই ব্যক্তিগতভাবে ইব্রাহিম পাশাকে
পত্র লিখত। এমনকি কনস্টান্টিনোপলে আগত যেকোনো বিদেশি দূতদের
আদেশ দেয়া হতো ইব্রাহিম পাশার সাথে প্রথমেই যোগাযোগ করার জন্য।

সুলতান সুলেমান এবং ইব্রাহিম পাশা একে অন্যের প্রতিরূপ হয়ে
অটোমান সাম্রাজ্য পরিচালনা করতেন। ইউরোপে নিজের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য
হাবসবুর্গ ও ফ্রান্সের সাথে মৈত্রী জোটের মাধ্যমে পররাষ্ট্রনীতি পরিকল্পনা করেন
সুলতান। অন্যদিকে ইউরোপের সম্পর্কে অভিজ্ঞ হওয়ায় ইব্রাহিম পাশা কৌশল
ও ছোটখাটো সব বিষয়ে দেস্তান পর্ব ১২ বাংলা সাবটাইটেল মনিবের দৃষ্টি খুলে দিতে সাহায্য করে। অটোমান
ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণে পশ্চিমের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে ও উন্নয়নে গুরুতৃপূর্ণ
ভূমিকা রাখে ইব্রাহিম পাশা।

ইবাহিম পাশার সবশেষ অর্জনে ছিল তার বন্ধু প্রথম ফ্রার্সিসের সাথে
আলোচনা, ড্রাফট ও স্বাক্ষরের মাধ্যমে ১৫৩৫ সাথে একটি শান্তিচুক্তি স্থাপন
করা। এতে করে তুর্কিরা যতটুকু কর দিত ততটুকু কর সুলতানকে প্রদানের
মাধ্যমে ফরাসিরা অটোমান সাম্রাজ্যের সর্বত্র ব্যবসা করার অধিকার পায়।
একই ভাবে তুর্কিরাও ফ্রান্সে সমানাধিকার পায়। দেস্তান পর্ব ১২ বাংলা সাবটাইটেল এর মাধ্যমে ভূমধ্যসাগরে
ভেনিসের একচ্ছিত্র আধিপত্যের অবসান হয়। সব ধরনের খ্রিস্টান
জাহাজসমূহকে বাধ্য করা হয় ফরাসি পতাকা উত্তোলন করে সমুদ্রযাত্রা
করতে ।

এই শাস্তিচুক্তির মাধ্যমে বিদেশি শক্তিসমূহ সন্ধি শর্তে আত্মসমর্পণ করে
অটোমান সাম্রাজ্যের কাছে। এভাবে ফ্রাঞ্কো-তুর্কি মৈত্রী জোটের মাধ্যমে
ইউরোপের রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তিতে সুলতানের সুবিধানুযায়ী শক্তির
ভারসাম্য স্থাপিত হয়।

দিন দিন সুলতান সুলেমান ধর্মপ্রাণ মুসলিম হিসেবে ইসলামি আদর্শ ও
প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতি আরো অনুরক্ত হয়ে পড়েন। নতুন কোনো আইনি
প্রক্রিয়ার গঠন না করে; বরঞ্ নতুন সময়ানুযায়ী পুরোনোকে আধুনিকায়নে
আগ্রহী ছিলেন সুলতান সুলেমান। দেস্তান পর্ব ১২ বাংলা সাবটাইটেল

জটিল প্রথা এবং অনুশীলনকে তিনি সুস্পষ্ট ও সহজ করে তোলেন।
অটোমান সরকারের প্রধান দুটি ভিত্তির ওপর নির্ভর করে তিনি এক্ষেত্রে শাসন
প্রতিষ্ঠানসমূহ ধর্মনিরপেক্ষ এবং কার্যনির্বাহী প্রতিষ্ঠান; এবং মুসলিম প্রতিষ্ঠানসমূহ,
ধর্মীয় এবং বিধান সভা । সুলতানের একচ্ছত্র শীসনাতলে এ দুই প্রতিষ্ঠান একত্রিত
হয়ে তাদের বিভিন্ন দায়িত পালন করে চলে।

বড় একটি অংশ, যাদেরকে শিক্ষা দেয়া হচ্ছিল উপরোক্ত অফিসসমূহে ও
সুলতানের দরবারে কাজ করার জন্য। এদের প্রায় সবাই ছিল খ্রিস্টান বা
খ্রিস্টান বংশোদুত পিতা-মাতার সন্তান ও সুলতানের দাস।

অন্যদিকে এ প্রশাসনের সমান্তরালে মুসলিম প্রতিষ্ঠানসমূহ গঠিত হতো
শুধু মুসলমান বংশোডুতদের নিয়ে। বিচারক, আইনজীবী, ধর্ম ব্যাখ্যাকারী,
হুজুর, অধ্যাপক, এরা সবাই শরিয়তভিত্তিক আইনের ধারক বাহক ছিল।

পবিভ্র শরিয়ত আইনকে অবজ্ঞা বা পরিবর্তনের কোন ক্ষমতা ছিল না
সুলতানের । একজন সত্যকারের মুসলমান হিসেবে এ ধরনের কোনো
অভিপ্রায়ও ছিল না তীর। কিন্তু পরিবর্তনশীল পৃথিবীর সাথে পাল্লা দিয়ে ধর্মের
শুরুতে ইউরোপের খ্রিস্টান অঞ্চলসমূহ দখল করলেও ধীরে ধীরে এশিয়ার
পুরাতন কিছু ইসলামি শহর যেমন দামাক্কাস, বাগদাদ, কায়রোসহ মক্কা-
মদিনার অভিভাবকতৃ লাভ করেন সুলতান। পুরো মুসলিম বিশ্ব সুলতান
সুলেমানকে তাদের নেতা হিসেবে মেনে নিলে সাম্রাজ্যে মুসলিম বৈশিষ্ট্য
শুরুতৃপূর্ণ হয়ে ওঠে। আর এই কারণে বিধান সভায় নতুন ধারার প্রয়োজন
হয়ে পড়ে। দেস্তান পর্ব ১২ বাংলা সাবটাইটেল

এ কারণে নিয়োগপ্রাপ্ত বিভিন্ন ধর্মতত্ুবিদ ও বিচারক সুলতানকে পথ দেখাতে
থাকেন যে শরিয়ত আইনের কতটা সুলতান পরিবর্তন করতে পারবেন।

শরিয়ত আইন ব্যতীত সুলতানের শাসনকাজে “কানুন” ছিল একমাত্র
বিধান সভার অস্ত্র। আর এক্ষেত্রে সুলতান জমির স্বত্ব ভোগ ও কর প্রদানের
ক্ষেত্রে রাজ্যের সামন্তপ্রথার পরিবর্তন করতে চেষ্টা করেন। কেননা তার পূর্ব-
পুরুষদের সময় থেকেই খিস্টান ও মুসলিম প্রজাদের মধ্যে এই দুই ক্ষেত্রে
পার্থক্য ও দূরত্ব বেড়ে যাচ্ছিল।

নিজের পুনঃসংস্কারের কাজের ক্ষেত্রে সুলতান রায়াদের অবস্থার প্রতি
বিশেষ ভাবে দৃষ্টিপাত করেছিলেন-খ্রিস্টান কৃষক যারা সিপাহিদের জমি চাষ
করত। দেস্তান পর্ব ১২ বাংলা সাবটাইটেল

এক্ষেত্রে সমসাময়িক একজন লেখক লিখে গেছেন, “আমি এমন অনেক
হাঙ্গেরিয় দেখেছি যারা নিজেদের ঘর পুড়িয়ে দিয়ে ছেলেমেয়ে, স্ত্রী ও চাষের
যন্ত্রপাতি নিয়ে তুর্কিদের অধিকৃত অঞ্চলে চলে গেছে। ভেনেশীয়দের তুলনায়
বরঞ্চ অটোমান শাসক তাদের কাছে পছন্দ ছিল।”

সুলেমান “কানুন’ রীতির ক্ষেত্রে অপরাধী ও পুলিশদের জন্যও নতুন আইন
সংযোজিত হয়, শাস্তি প্রদান প্রক্রিয়া পূর্বের তুলনায় উদার হয়ে যায়। দাপ্তরিক
শাস্তি হিসেবে বিভিন্ন অপরাধের জন্য জরিমানা প্রদানের শাস্তি নির্ধারিত হয়।

শরিয়ত আইনের করারোপ ব্যতীত সুলেমানের কর ধার্য করার নীতির
পরিসর ও ব্যাপ্তি বেড়ে যায়। গৃহস্থালির ক্ষেত্রে অবিবাহিত এবং বিবাহ করতে
ইচ্ছুক উভয়ের ওপর কর আরোপ করা হয়। দেস্তান পর্ব ১২ বাংলা সাবটাইটেল ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সুলেমান
বিপুল সংখ্যক নতুন আইন প্রবর্তন করেন। এতে বাজার সমাজ, মজুরি এবং
দাস, খুচরা এবং পাইকারি ব্যবসাসহ খাদ্য তৈরির প্রক্রিয়া ও বিক্রির ওপর
বিস্তারিত প্রক্রিয়া সবই অন্তর্ভুক্ত ছিল। দেস্তান পর্ব ১২ বাংলা সাবটাইটেল

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button