কুরুলুস উসমান ভলিউম ৯০ বাংলা সাবটাইটেল
ভলিউম নিচে
সতেরো শতকজুড়ে এভাবেই সাম্রাজ্যের বৈদেশিক সম্পর্কের চরিত্র ও
আকার পরিবর্তিত হয় ।
এর আগে এ ধরনের সুবিধা ভোগ করত ফ্রান্স সুলেমানের আমলে ১৫৩৫
সালে! দুই পক্ষবিশিষ্ট এ চুক্তিটি ছিল বেশ শক্তিশালী ।
১৫৭৯ সালে সুলতান তৃতীয় মুরাদের শাসনামলে ফ্রান্সের রাজা তৃতীয়
হেনরি ভেবে দেখলেন যে তীদের সম্পর্ক আরো মজবুত করা দরকার। এ
উপলক্ষে পূর্বের চেয়ে উচ্চ পদমর্যাদার ফরাসি দূত পাঠান ইস্তাম্বুলে ব্যারস ডি
জারমিনি নামে এ এজেন্ট দিওয়ানের বিশ্বীস অর্জন করে তুর্ক-ফ্রেঞ্চ মৈত্রী
আরো পাকাপোক্ত করে। এছাড়াও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে শর্তাধীন সন্ধি নিশ্চিত
করে সব কুটনৈতিককে উবে নিয়ে যায় ফ্রান্সকে। এছাড়াও জেরুজালেম,
সিনাইসহ অটোমান সাম্রাজ্যে উপস্থিত ভেনেশীয় বাদে সকল খ্রিস্টানের
নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এ চুক্তির মাধ্যমে ।
রাজনৈতিক প্রভাব ব্যতিরেকে দুর্নীতির এই যুগে উজিরেরা, প্রাসাদ ও
সামরিক কর্তীব্যক্তিরা, হারেম ও অন্য সবখানে উপস্থিত সুলতানের প্রিয়ভাজনেরা এ
চুক্তির মাধ্যমে আগত বিদেশি কর ও অর্থে যথেচ্ছ সংগ্রহ ও ব্যবহার করত।
ফ্রেঞ্চ শর্তাধীন সন্ধির নবায়নের দুই বছরের মাথাতেই বস্তত সুলতান এ সত্য
প্রতিষ্ঠা করেন যে, নিরাপত্তার খাতিরে সবাইকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত পোর্তে
নগরী ।
নির্দিষ্ট করে এক্ষেত্রে বলা যায়, ইংল্যাণ্ডের রানি এলিজাবেথের কথা । তার
দাবি ছিল যে ফ্রেঞ্চ পতাকা নয়, ইংল্যাণ্ডের পতাকা বহন করে এর জাহাজসমূহ
চলাচল করবে। এছাড়াও অটোমান সাম্রাজ্যের মাঝে ইংরেজদের নৌযানের
স্বাধীনতা ও বাণিজ্য করতে দেয়া হবে।
ষোড়শ শতকের শুরুর দিকে
ভেনেশীয়দের সাথে যোগাযোগ করে ইংরেজ জাহাজসমূহ ভূমধ্যসাগরে
অনুপ্রবেশ করলেও তুর্কিরা নৌ-ক্ষমতা লাভ করলে তারা সরে যায়। এর
বদলে পর্তৃগিজরা কেপ পথের উন্নতি করলে ইংরেজরা নেদারল্যান্ডস চলে
যায়। কিন্তু ষোড়শ শতকের শেষ ভাগে রানি পর্তুগাল দখল করে নিলে
নেদারল্যান্ডস বিদ্রোহ করে আর এ সুযোগ নষ্ট হয়!
মোটের ওপরে স্পেনে দাঙ্গা বেড়ে গেলে এটি পরিষ্কার হয়ে গঠে যে
তুর্কিদের সাথে মৈত্রী গড়ে তুললে ভূমধ্যসাগরে স্পেনের প্রভাব রুখে দেয়া যাবে।
এ লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দুজন বণিক, রাজকুমার স্যার এডওয়ার্ড
অসবর্ন এবং তার সহকর্মী রিচার্ড স্ট্যাপার উদ্যোগ নেয়। ১৫৭৫ সালে দুজন
প্রতিনিধি পাঠায় ইস্তাম্থুলে। তাদের মাঝে একজন আঠারো মাস ইস্তাম্বুলে
থেকে সুলতানের কাছ থেকে অসবর্ণের দাবির প্রতি সমর্থন আদায় করে। এ
দাবি ছিল অন্যান্য বাণিজ্যিক স্বার্থের পাশাপাশি লেভান্তের সাথে বাণিজ্যিক
সম্পর্ক পুনরায় প্রতিষ্ঠা করা । ১৫৭৮ সালে উইলিয়াম হারবর্ন প্রথম ইংরেজ
কূটনীতিক হিসেবে ইস্তাম্থুলে যাত্রা করে।
পোর্তে শহরে পা দেওয়ার কিছুদিনের মাঝে কুটনৈতিক বুদ্ধিতে বলীয়ান
উইলিয়াম তুর্কি অঞ্চলে ব্যবসার স্বাধীনতার প্রতিজ্ঞা আদায় করে নেয়।
সুলতান মুরাদ ও রানি এলিজাবেথের মাঝে পত্র আদান-প্রদানের মাধ্যমে এ
ব্যাপার চূড়ান্ত হয় ও এরপর ১৫৮০ সালে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷
এ চুক্তির মাধ্যমে সুলতান রানি এলিজাবেথকে “প্রখ্যাত এলিজাবেথ,
জিসাসের প্রকৃত ভক্ত… চিরস্থায়ী আনন্দ, গৌরবের মহান ইংল্যান্ডের
উত্তরাধিকারী, উল্লেখ করে জ্ঞাত করেন যে সাম্রাজ্যের অঞ্চলে ইংল্যান্ড থেকে
আগত ব্যক্তি আসতে পারবে। নিশ্চিন্তে ফিরে যেতে পারবে । কেউ তাদের
গায়ে হাত দেওয়ার সাহস করবে না। অন্যান্য খ্রিস্টান বণিকদের মতোই
কাউকে বিরক্ত না করে ব্যবসাও করতে পারবে।