Uncategorized

দেস্তান ভলিউম ১৯ বাংলা সাবটাইটেল – উসমান গাজী বাংলা

ভলিউম নিচে 

এরপর সুলতানের প্রাসাদে ১৫০ পদ খাবারসহ আনন্দ আয়োজনে করা
হয় হারবর্ন ও তার দলের জন্য । পান করার জন্য ছিল “গোলাপ ভাল, চিনি ও
মসলার একত্রিত সংমিশ্রণ” কিন্তু হারবর্নের প্রতি এই সম্ভাষণ ক্ষিপ্ত হয়ে
জারমিনি তাকে “বণিকদের মামুলি বেতনভুক” হিসেবে আখ্যায়িত করে।
এমনকি যদি ইংরেজ জাহাজসমূহ নিজেদের পাতাকাতলে চলাচল করে তাহলে
ফ্রাঙ্কো-তার্কিশ মৈত্রী জোট ভেঙে দেওয়ার ও হুমকি দেয়া হয়।

ভেনেশীয় কূটনীতিক মোরোসিনি প্রধান উজিরকে ঘুষপূর্বক বোঝাবার
চেষ্টা করে যে, তুর্কি ব্যবসায় ইংরেজদের অন্তর্ভুক্ত করা হলে তুর্কিদের শুক্কের
ওপর তা খারাপ প্রভাব ফেলবে।

কিন্তু প্রধান উজির জারমিনিকে দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দেয় যে “এই ধরনের
অবনতির মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। এছাড়াও আরো জানিয়ে দেয় যে
শান্তিকামী সকলের জন্য পোর্তে উনুক্ত।

হারবর্ন পেশাগত দায়িতৃকে চ্যালেন্ হিসেবে গ্রহণ করে। জারমিনির
সহজেই উত্তেজিত হয়ে পড়া চরিত্রের বিপরীতে হারবর্নের ছিল স্থির ও
দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ব্যক্তিতৃ।

শীঘ্রই স্থগিত হওয়া সন্ধিশর্তে আত্মসমপর্নকে নবায়ন করে ফেলে হারবর্ন।
দেশপ্রেমিক হিসেবে নিজের দেশের মহত্ব তুলে ধরার দিকে সব সময় উৎসাহী
ছিল হারবর্ন।

ফ্রান্সের তুলনায় ইংল্যান্ড একটু বেশি সুবিধা পেয়েছিল কার্ষক্ষেত্রে।
ইংল্যান্ডের সন্ধিশর্তে আত্মসমর্পণ বাণিজ্যিক সুবিধাদির ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল।
কিন্ত ফরাসিরা সকল খ্রিস্টান ও চার্চের নিরাপত্তাকেও অন্তর্ভূক্ত করেছিল । অথচ
এমন একটা সময় আসে যখন সুলতান মুফতির মাধ্যমে ধর্মীয়ভাবে প্ররোচিত
হয়ে ইস্তাম্বুলের সকল গির্জাকে মসজিদে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। জারমিনির
প্রতিবাদ ও অর্থডক্স গ্রিকদের টাদাদানের মাধ্যমে এ হুমকি রহিত হলেও

গালাটাতে তিনটি গির্জা বন্ধ করে দেয়া হয়। বিচার বিভাগীয় উপহার প্রদানের
মাধ্যমেই শুধু এ গির্জাসমূহ পুনরায় খুলে দেয়া হয়। কিন্তু জারমিনির পরবর্তী
কূটনীতিক বিতর্ক উসকে দেয়; প্রধান গির্জায় রাজকীয় প্রতিনিধির জন্য
সংরক্ষিত জায়গা বলপূর্বক দখল করে। কিন্তু এতে করে প্রধান উজির গির্জাটি
বন্ধ করে দেয়। আর এই নতুন দূতের ইংরেজ বৈরীতার সন্ধান পেয়ে হারবর্ন
আত্মবিশ্বীসের সাথে উত্তর দেয় যে, “আমার মনে হয় না, আমাকে পদচ্যুত
করার মতো যথেষ্ট শক্তিশীলী সে।”

কিন্তু উভয় ইউরোপীয় শক্তির জন্য এই বর্তমান সুযোগ রাজনৈতিক ক্ষেত্রে
নয়, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুফল বয়ে আনে । এটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, নৌশক্তির
যতটুকু অবশিষ্ট আছে তা নিয়ে অটোমান সাম্রাজ্য আর বিবাদে বা যুদ্ধে
জড়াতে চায় না।

রাজা ফিলিপ তার আটলান্টিক বন্দরে বৃহৎ বড় স্প্যানিশ রণপোতবহর
তৈরি করেন ইংল্যান্ড আক্রমণ করার জন্য । পোর্তে এ সময় হারবর্নের নৌ
সহায়তার প্রার্থনায় নমরভাবে বোবা বনে থাকে।

এদিকে ফ্রান্সও রাজা চতুর্থ হেনরির জন্য যে কিনা তার আভ্যন্তরীণ
ক্যাথলিক শত্রু গাইসেসের বিরুদ্ধে লড়ছেন, তুর্কি সাহায্য কামনা করতে
থাকে। গাইসেস কে আবার সাহায্য করছে স্পেনের ফিলিপ । সুলতান তাই
রাণি এলিজাবেথ ও রাজা হেনরি উভয়কেই স্প্যানিয়ার্ডদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
উৎসাহিত করতে থাকে ও তুর্কি সাহায্যের প্রত্যাশা বেড়ে যায় সকলের ।

এভাবেই সবাই আশা করতে থাকে যে প্রতিমাপূজারী স্পেনের বিরুদ্ধে
তুর্কিরা ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স উভয়কে সাহায্য করবে। এডওয়ার্ড বারটন, রাণির
মন্ত্রিপরিষদের কাছে এমনটাই পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করলেও বাস্তবে
সুলতানের কৃপণতা অথবা রাজকোষের সত্যিকারের বেহাল অবস্থার কারণে এ
রকম তুর্কি রণপোতবহরের পরিকল্পনা আলোর মুখ দেখেনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button