Uncategorized

দেস্তান ভলিউম ১৬ বাংলা সাবটাইটেল – Destan bolum 16 bangla subtitles

ভলিউম দেখতে পোষ্টের নিচে যান

দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্য ভাগের আগ পর্যন্ত সেলজুক রাষ্ট্র এশিয়া মাইনর
গঠনে হাত দেয়নি। এরপর তারা পুরাতন মুসলিম রাষ্ট্র থেকে বের হয়ে এশিয়া
মাইনর গঠনে হাত দেয়। মধ্য আনাতোলিয়াকে কন্যা শহরে রাজধানী স্থাপন
করে মুসলিম ধারায় এবং একটি সুস্থির গঠনের ভিত্তিতে নিজের সুলতানদের
দ্বারা শাসন শুরু করে। অন্যান্য মুসলিম শক্তিদের কাছে তাদের বংশধারা
পরিচিতি পায় রামের সালতানাত নামে, আরবীয়
ভাষায় এর অর্থ “রোমের সিজার” বাইজেন্টাইন খ্রিস্টিয়ানররা ।

মিরিত্তখেপালন, যুদ্ধের পর মানজিকার্ত এরও শতবর্ষ পরে) পশ্চিম
আনাতোলিয়া শাসন করত। একটি সম্মিলিত সেলজুক রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে
পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ অবস্থান ছিল এর ভিত্তি। এভাবেই রাম সেলজুকরা
ইসলামকে সাথে নিয়ে প্রভূত সম্মান অর্জন করে এবং তাদের সাম্রাজ্যবাদ নিয়ে
পারস্যের বিখ্যাত সেলজুক পরিণত হয়। ক্রমেই এরা একটি সমৃদ্ধশালী ও
উন্নত শক্তিতে পরিণত হয়, যা ত্রয়োদশ শতাব্দীতে এসে সাফল্যের শীর্ষচূড়া
স্পর্শ করে।

কিন্তু আক্ষেপের বিষয় একটি স্থায়ী হয়নি। এ পর্যায়ে এসে তাদেরকে
মোকাবিলা করতে হয় অনেকটা তাদেরই স্বগোত্রীয় যাযাবর জাতি মঙ্গোলদের ।
তুর্কিদের মতোই এরাও ইউরেশিয়ান অনূর্বর ভূমিতে ছড়িয়ে পড়ে । উত্তর হয়ে
রাশিয়াতে, পূর্ব দিকে চীনে এবং পশ্চিম দিকে এশিয়াতে এসে মঙ্গোলরা
মুসলিম বিশ্ব অধিকার করতে চায়।

ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে চেঙ্গিস খান আক্রমণের সূচনা করেছিল আর পরবর্তীতে তার-ই বংশধরাও একই কাজ
করে। তুর্কি যাযাবর জাতিরা মঙ্গোলদের আগেই এ অংশে পৌছে গেছে। কিন্তু
তারপর তুর্কমান আর ছোট ছোট যোদ্ধা জাতি এশিয়া মাইনর জুড়ে সেলজুক
রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ দেখা দেয় ।

এদেরই পথ ধরে আসে ভয়ংকর মঙ্গোল
সেনাবাহিনী। ১২৪৩ খ্রিস্টাব্দে মঙ্গোলরা তখন পর্যস্ত অজেয় সেলজুক্‌
সেনাবাহিনীকে রুখে দেয়, কো দা (0999 705£]) নামক জায়গায়
বাইজেন্টাইন সহায়তায় ও সাধারণ ভাড়া করা সৈনিকদের মাধ্যমে সেনাবাহিনী
গড়ে তোলে আর যত শহর পর্যন্ত তা জয়ে এগিয়ে যায়। এর ফলে মাত্র এক
দিনেই এশিয়া মাইনরের ইতিহাসের সম্পূর্ণ পথ বদলে যায়। সেলজুক রাম

ইতিমধ্যে এশিয়া মাইনরের সামগ্রিক অংশই পুরাতন সীমানাময় সভ্যতায়
ফেরৎ যায়। সেখানে কেন্দ্রীয় শাসক ছিল স্বাধীন। বাইজেন্টাইনের সম্মুখ দিক
দিয়ে পদাতিক সৈন্যরা পূর্বের মতোই আবারো লুগ্ঠনকাজে মেতে ওঠে।
এমনকি কোনো বাধা ছাড়াই বিভিন্ন শহরও দখল করে নেয়।

কয়েক দিনের মাঝেই এদের সাথে এসে জড়ো হয় তুর্কমান গোত্রীয় লোক আর এমনকি
সেলজুক রাষ্ট্র থেকে আগত শরণার্থীরা । এছাড়া শেখ এবং দরবেশ
শ্রেণীর মানুষরাও এসে জুটে যায়, যারা তুর্কিস্তান আর পারস্য থেকে পালিয়ে
এসে এশিয়া মাইনরে স্থান নেয় আর অবিশ্বাসীদের বিরুদ্ধে প্রচলিত তুর্কিদের
যুদ্ধে একমত পোষণ করে।

ক্ষমতা এসে কেন্দ্রীভূত হয় গাজীদের হাতে । বাইজেন্টাইন প্রতিরক্ষা
ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নতুন নতুন অঞ্চল আর লুষ্ঠনের জন্য, এমনকি
্রাতৃপ্রতিম শত্রু আকরিতাই রাও গাজীদের বাধা দিতে পারেনি ।
টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া অরক্ষিত গ্রিক শক্তির কাছ থেকেও কোনোরূপ বাধা
ছাড়াই গাজীরা পশ্চিম এশিয়া মাইনরে ছড়িয়ে পড়ে।

আর এ সমস্ত অঞ্লের ভাগ বাটোয়ারা করতে গিয়ে গোত্রপ্রধানরা নিজেদের মাঝে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।
এ ক্ষেত্রে এ প্রধানরা হয়ে ওঠে মোটামুটিভাবে গাজী মতবাদের ধারক এবং
বাহক । এদের মাঝে অন্যতম ছিল ওসমানীয় মতবাদ পরবর্তীতে যা অটোমান সাম্রাজ্য হিসেবে অন্যতম বিশ্ব শক্তিতে
পরিণত হয়। এর ফলে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের শূন্যস্থান পূর্ণ হয় আর এর
অধীনে শাসিত হয় পরবর্তী ছয়টি শতাব্দী ।

অটোমান রাজবংশের প্রথম দিকটার ইতিহাস ঢেকে আছে বিভিন্ন পৌরাণিক
কল্পকাহিনীতে । এ সম্পর্কে বিভিন্ন মতও প্রচলিত আছে। এঁতিহাসিকভাবে এর
প্রতিষ্ঠাতা আর্তঘরুল নামে একজন গোত্রপ্রধান। এশিয়া মাইনরে অভিবাসনের
সময় তিনি মাত্র চারশ ঘোড়সওয়ার সাথে করে নিয়ে আসেন। পথিমধ্যে দুই
অজানা দলের মাঝে বিবদমান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু অজানা হলেও
করেন। এর ফলে তারা জয়লাভ করে। পরবর্তীতে জানা যায়__এই দলটি ছিল
সেলজুক, রাষ্ট্র কন্যার সুলতান আলা-এদ-দিন এর বাহিনী । যারা মঙ্গেলদের
বিরুদ্ধে লড়ছিল।

এর ফলে খুশি হয়ে আল-এদ-দিন আনাতোলিয়ার পশ্চিমে
সুগতে শ্রীন্ম আর শীতের বসবাসের উপযোগী জমি পুরস্কার দেন
আর্তঘারুলকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আর্তঘরুল সুলতানকে আরেকটি যুদ্ধে জয়ী
হতে সহায়তা করে। এই পর্যায়ে যুদ্ধটি ছিল গ্রিকদের বিরুদ্ধে। এভাবেই
অটোমান বংশের সাথে রাজশক্তির বৈধ সম্পর্ক স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে
সুলতান স্বয়ং আর্তঘরুলের পুত্রসন্তান ওসমানকে সার্বভৌমত্্রে চিহ্ন প্রদান
করেন, বাদ্য আর ব্যানারের আদলে ।

এছাড়া আরো কিছু কল্পকথা প্রচলিত আছে এ ক্ষেত্রে। যেমন__আর্তঘরুল
ও তার সন্তান ওসমানের স্বপ্নু। বলা হয়ে থাকে যে, ওসমান এক রাত্রে একজন
ধর্মপ্রাণ মুসলিমের বাড়িতে রাত কাটান। নিদ্রার পূর্বে এই ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি
ওসমানকে একটি বই দিয়ে যায়। বইয়ের ওপরে নাম পড়তে গিয়ে ওসমান
প্রতিউস্তর পান যে, “এটি কোরআন।

ঈশ্বরের বাণী, যা তিনি তার নবী মোহাম্মদের মাধ্যমে পৃথিবীতে প্রকাশ করেছেন।” ওসমান পুস্তক পাঠ শুরু করেন
এবং সারা রাত্রি দীড়িয়ে থেকে পাঠ করে যান। ভোর বেলা এসে তিনি ঘুমিয়ে
পড়েন। মুসলমানদের মতে যেটি নবীকে স্বপ্নে দেখার আসল সময়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button