উসমান অনলাইন কুরুলুস উসমান ভলিউম ১০২ বাংলা সাবটাইটেল
উসমান অনলাইন কুরুলুস উসমান ভলিউম ১০২ বাংলা সাবটাইটেল দেখুন পোষ্টের নিচে।
কুরুলুস উসমান ভলিউম ১০১ কুরুলুস উসমান ১০০ যেখানেই শেষ হয়েছিল, সেখান থেকে ভলিউম ১০১ শুরু হয়,অর্থাৎ উসমান বে আর ওলোফ যুদ্ধ করছিল হঠাৎ কান্তাকোজেনুসের উপস্থিতি যুদ্ধ থামিয়ে দিলেও আমরা বুঝতে পারিনি যে,ওলোফকে কান্তাকোজেনুস কিভাবে বাঁচাবেন উসমান বের হাত থেকে।এই সীনের মাধ্যমে কুরুলুস উসমান ভলিউম ১০১ শুরু হয়।
উসমান বের হাত থেকে কিভাবে ওলোফকে বাঁচাল-
আমরা লাস্টে পর্বে লাস্টে দেখেছিলাম উসমান বে আর ওলোফ যুদ্ধে জড়িত ছিল,উসমান বে প্রায় ওলোফ এবং তার বাহিনীকে পরাজিত করে ফেলেছিলেন, ওলোফ পরাস্ত হবে হবে এমন মূহুর্তে কান্তাকোজেনুস উপস্থিত হয়ে বলেন যে,আপনি ভূল মানুষের সাথে যুদ্ধ করছেন উসমান বে,সে আরো বলে ওলোফ হলেন রোমের একজন সেরা সেনাপতি ,উসমান বে তার সেনাদের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য কান্তাকোজেনুসের কথাকে উপেক্ষা করতে চাইলে সে বলে যে,উকতেম বে বসতির লোকেরা সীমান্ত গ্রামে হামলা চালানোর কারণে তিনি তাদেরকে শাস্তি দিয়েছেন, উসমান বে তারপরও মেনে না নিলে কান্তাকোজেনুস চালাকি করে উসমান বের ছেলে আলাউদ্দিন পাশার অপহরণের কথা উসমানকে বললে উসমান বে তার ছেলেকে বাঁচাতে যুদ্ধ থামিয়ে দেন।শেষ পর্যন্ত ওলোফ বেচে যায় উসমান বের হাত থেকে।
আলাউদ্দিনের অপহরণকে কেন্দ্র করে কান্তাকোজেনুসের চক্রান্তঃ
মূলত এখানে একটা কথা হল কান্তাকোজেনুস সিংহাসন উত্তরাধিকারী হলেও সে সম্রাট হতে পারবে না,সম্রাটের মেয়ে ওফেলিয়ার আগে,তু এখন সে চক্রান্ত করে তার পথ থেকে ওফেলিয়া সরিয়ে দিতে চাই তাই সে নিজে তার ভাড়াটে ভাইকিংসদের দিয়ে আলাউদ্দিনকে অপহরণ করিয়ে সে দোষ চাপিয়ে দেয় ওফেলিয়ার উপর,সে উসমান কে বলে আপনার ছেলে আলাউদ্দিন আপনার শত্রুর হাতে বন্দী।
সম্রাটের মেয়ে ওফেলিয়া আপনার ছেলেকে অপহরণ করেছে, ওফেলিয়ার উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়ার কারণ হল,উসমান তার ছেলের গায়ে হাত দেওয়া সহ্য করতে পারে না,তাই তার ছেলেকে দিয়ে ওফেলিয়ার উপর দোষ চাপিয়ে দিয়েছে। সে শেষ পর্যন্ত তার চক্রান্ত করে সফল হয়।
আলাউদ্দিনকে শত্রুদের হাত থেকে উদ্ধারঃ করে যেভাবে-
উসমান বে যখন জানতে পারে তার ছেলে আলাউদ্দিনকে তার শহর ইয়েনিশেহির থেকে অপহরণ করা হয়েছে তখন সে পদচিহ্ন অনুসরণ করে আলাউদ্দিন খুঁজতে বের হয়ে পড়ে,পথিমধ্যে তার বালা হাতুনকে দেখতে পাই একদল সৈন্য নিয়ে,বালা হাতুনও বের হয়েছে, তার ছেলে আলাউদ্দিনকে খোঁজতে,তারা চিহ্ন অনুসরণ করে সামনে যেতে লাগল, এক পর্যায়ে তারা তাদের চিহ্ন পেয়ে যায়,চিহ্ন পাওয়ার কারণ হল তারা উসমানকে তাদের ফাঁদে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল,শেষ পর্যন্ত ফাঁদ উপেক্ষা করে উসমান এবং বালা হাতুন তার ছেলে আলাউদ্দিনকে উদ্ধার করে।
ফাঁদের উপর ফাঁদ যখন আসেঃ
তারা উসমানকে ফাঁদে ফেলার জন্য মূলত আলাউদ্দিনকে বন্দী করে, কান্তাকোজেনুস উসমানকে ক্লু দেই যে,আপনার ছেলেকে ওফেলিয়া অপহরণ করেছে,আপনি তাকে উদ্ধার করেন।মূলত এটা হচ্ছে ফাঁদ,উসমান বে তাদের টোপ গিললেও তারা উসমানকে ফাঁদে ফেলতে পারেনি,উসমান সতর্কতা অবলম্বন করেছিল,এটাই তু একজন প্রকৃত বের উদাহরণ।
তিনি এমন ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করেছেন যে আলাউদ্দিনকেও উদ্ধার করেছেন,এবং তাদেরকেও শেষ করেছেন,ওলোফের বাহিনী যারা উসমানের জন্য ফাঁদ পেতেছিল,তাদেরকে উসমান সেইরকম একটা ফাঁদে পেলে শেষ করছেন,একদিকে চেরকুতাইকে দায়িত্ব দিয়েছেন,রোমান আগুনের গুড়া দিয়ে তাদেরকে ভস্ম করবে,অন্যদিকে বোরান, আয়াজ,দুমরুল, তারা দুইজন করে সৈন্য নিয়ে চারদিক থেকে তীর ছুড়ে, যার ফলে তারা পরাজিত হয়।এই যুদ্ধে উসমান বে জয়ী হন,এবং আলাউদ্দিনকে উদ্ধার করেন।
কান্তাকোজেনুস ষড়যন্ত্র করে যেভাবেঃ
ওকতেম বেকে ফাঁসানোর জন্য মার্তা ষড়যন্ত্র করেছেন যে,কনস্টান্টিনোপলের জন্য তুলা কর ওকতেম বের বসতিতে লুকিয়ে রাখে,এবং তারা দাবী করে বাতুর সীমান্ত গ্রামে আক্রমণ করে সেই কর চিনিয়ে নিয়েছে, মূলত তারাই আক্রমণ করে চক্রান্ত সাজিয়েছে,এবং উসমান বেকে চাপ দেওয়া হয়, সেই কর খুঁজে বের করে দেওয়ার জন্য, উসমান বে তুরগুত বেকে আদেশ করেন যে,ওকতেম বে বসতি তল্লাশি করার জন্য,তুরগুত বে এবং আকতেমুর ওকতেম বে বসতী তল্লাশি করে শেষ পর্যন্ত তার বসতীতে স্বর্ণ পাওয়া যায়,এবং ওকতেম বেকে দোষী সাবস্ত করা হয়।
ওকতেম বেঃ-
ওকতেম বে মানুষটি খুব ভালো মানুষ তিনি আসলে কোন খারাপ কাজে জড়িত না হয়েও ভাগ্যের দোষে তিনি জড়িয়ে গেলেন,ইতিহাস থেকে জানা যায় তিনি শেষ পর্যন্ত উসমান বেকে সমর্থন করেন। এখনও এত ঘটনা ঘটার পরও তিনি উসমান বেকে নিয়ে একবারের জন্যও খারাপ কথা বলেন নি।
সবসময় পজিটিভ কথায় বলেছেন,এই জিনিসটা আমাকে মুগ্ধ করে।তবে তার আলা(চমৎকার) বলার ধরনটা আমার সাদেদ্দিন কোপেকের মতন মনে হয়েছে তবে অনেকের মন্তব্য,তিনার চেহারা নাকি আর্তগ্রুলের সিজন পাঁচের আর্তগ্রুল চেহারার সাথে মিলে যায়।
সুগুতে আক্রমণঃ-
এদিকে তারা উসমান বেকে আলাউদ্দিনকে খুজা নিয়ে ব্যস্ত রেখে,তারা আবার সুগুতকে ধ্বংস স্তুপে পরিণত করার জন্য সুগুতে অনুপ্রবেশ করে,তারা সুগুতে আক্রমণ শুরু করলেও মালহুন হাতুন এবং আয়েশা হাতুনের বুদ্ধিমত্তায় সুগুতকে তাদের হাত থেকে বেঁচে যায়,এবং শেষ পর্যন্ত পালিয়ে যায়,তবে এখানে ওলোফরা পরাজিত হলেও তারা একটু বিজয় করেছে,তা হল ওলোফের সেনা ড্যানকে কারাগার থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হন।
উসমান বের সন্তান আলাউদ্দিনের প্রতি উপদেশঃ
বেদের সভায় ওরহান বেকে কারাজাহিসার দূর্গের দায়িত্ব দেওয়া হলেও,আলাউদ্দিনকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হয়নি,যার কারণে আলাউদ্দিনের তার বাবার প্রতি রাগ জন্মেছিল,ছেলেদের রাগ তু বাবারা বুঝতে পারেন,তেমনি উসমান বে বুঝতে পেরেছিলেন যে আলাউদ্দিন রেগে আছে,তাই উসমান বে সফরে যাত্রা করার আগে ছেলের কাছে এসে ছেলেকে বুঝ দিলেন,বললেন,ছেলে বাবাদের মন অনেক বড় হয়, বাবারা কোন ছেলের মাঝে পার্থক্য করেন না।
মালহুন এবং বালার একের অপরের প্রতি ভালোবাসাঃ-
এমনি আমাদের সমাজে দেখা যায়, স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করলে প্রথম স্ত্রী দ্বিতীয় স্ত্রীকে একবারেই সহ্য করে না,তবে আগের জমানায় তাদের একজন আরেকজনের প্রতি কি মিল মোহাব্বত, আসলে এমন মিল মোহাব্বত না থাকলে এমন বড় একটা রাষ্ট্রের জন্ম হত না,বালা মনে করে মালহুনের ছেলে মানে বালার ছেলে,আবার মালহুন মনে করে বালার সন্তান মানে তার সন্তান, আসলে হিংসা বিদ্বেষ মানুষকে ধ্বংস করে,তাদের মাঝে একে অপরের প্রতি কোন হিংসা বিদ্বেষ ছিল না। আমাদের সমাজের মেয়েরা যদি আজ এমন হত…! পৃথিবীটায় অন্য রকম হত।
গোয়েন্দা বাহীনি প্রতিষ্ঠাঃ-
আমরা প্রায় অনেক সিরিজে দেখি,কাফেরের দূর্গে বা কাফেরের আস্তানায় মুসলিম গুপ্তচর।গুপ্তচরদের সংগঠন এটা আমরা পায়িথাত সিরিজে দেখতে পাই,তেমনি ভাবে বারবারোসলারেও দেখতে পাই। আসলে এগুলো উসমানীয় সম্রাজ্যের শুরু থেকে চলে আসছিল,যেটা আমরা কুরুলুস উসমান সিজন ৪ এ প্রথম দেখতে পেলাম,এটা আমরা আর্তগ্রুল বা কুরুলুসে আগে দেখিনি এরকম সংগঠন আকারে, দেখেছি একজন গুপ্তচর এমন,
তবে এবার পুরো একটা সংগঠন দেখতে পাই,যেটা হল সম্রাটের প্রাসাদ কনুরের নেতৃত্ব তারা সেখানে বিচ্ছিন্ন ভাবে বসবাস করে,কেউ কারাগারে বন্দী, আবার কেউ ভিক্ষুক,আবার কেউ সেবক,একদম বিচ্ছিন্ন ভাবে তারা সম্রাটের প্রাসাদে থাকে,আমরা সামনে এই গুপ্তচরদের বড় ভূমিকা দেখতে পাব।
কান্তাকোজেনুস কর্তৃক সম্রাটকে বিষপ্রয়োগঃ-
কান্তাকোজেনুস একসাথে অনেক গুলো চক্রান্ত করে তার প্রথম চক্রান্ত ওরহানকে অপহরণ সেটাতে ব্যর্থ হয়,আবার আলাউদ্দিনকে অপহরণের চেষ্টা,ওকতেম বে বসতি ধ্বংস করার চেষ্টা,সম্রাটকে মারার চেষ্টা,প্রথম পর্বে সম্রাটকে মারার প্রথম চক্রান্তে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় চক্রান্ত করে এমন ভাবে সাজায় যেন লাঠিও না ভাঙ্গে সাপও না মরে। অর্থাৎ সে সম্রাটকে এমন ভাবে বিষপ্রয়োগ করে বিষয়টি ওফেলিয়ার উপর চাপিয়ে দেই।
সে যদি তার চক্রান্তে সফল হত,তা হলে সম্রাট মরত বিষপ্রয়োগে,আর ওফেলিয়াকে মারা হত তার বাবা সম্রাটকে হত্যার দায়ে।আর এদিকে কান্তাকোজেনুসের সিংহাসনে বসার পথ সহজ হয়ে যেত,তবে সে তার চক্রান্তে আবারও ব্যর্থ হয়,উসমান বে আবার সম্রাটকে বাচিয়ে নেই।
এদেব আলির উপদেশঃ-
ওরহান এবং আলাউদ্দিন দুরসুন ফকিহের কাছে পড়তে গেলে সেখানে সাক্ষাৎ হয় এদেব আলির সঙ্গে,তিনি সেখানে তাদেরকে ইউসুফ আঃ) এবং তার ভাইদের কথা স্বরণ করিয়ে আলাউদ্দিন এবং ওরহানকে উপদেশ দেন। যা ওরহান এবং আলাউদ্দিনের জন্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ। কারণ তাদের দুইজনের মধ্যে একটু ভূল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল, যার ফলে একটু হিংসা জমেছিল,এই উপদেশের ফলে তাদের মনের ভিতরে জমে থাকা হিংসা দূরীভূত হয়েছিল।
উসমান বে কর্তৃক ওফেলিয়াকে বাঁচানোঃ-
কনস্টান্টিনোপলে সম্রাটের প্রাসাদে গন্ডগোল সৃষ্টি হয় সম্রাটকে বিষপ্রয়োগ নিয়ে,এখানে দোষারোপ করা হয়,তার নিজের মেয়ে ওফেলিয়াকে, ওফেলিয়া তার জিবন বাঁচাতে পালাতে গেলে কনুর তাকে বাচিয়ে নেই,এদিকে ওলোফ এবং তার সৈন্যরা জেনে যায় যে,কনুর ওফেলিয়াকে পালাতে সাহায্য করছে,
এটা জানার পর তারা কনুরকে খুজতে থাকে পুরো প্রাসাদ জুড়ে,তারাও পালাতে থাকে,এক পর্যায়ে তারা ওলোফের হাতে ধরা পড়ে যায়, কনুরের গুপ্তচর বাহিনী এবং ওলোফের বাহিনীর মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হয় এক পর্যায়ে কনুরকে পরাস্ত করে ওলোফ, সে কনুর হত্যা করতে যাবে এমন সময় উসমান বের এন্ট্রি নেই,শেষ পর্যন্ত কনুর বেঁচে যায়। ওলোফ বলে আমি যেখানে যায় তোমাকে দেখি, তখন উসমান বের কথাটা ছিল এমন যে, তুমি যেহেতু আমার বিরুদ্ধে আছ, তোমার শেষ নিশ্চিত। একথার মধ্য দিয়ে কুরুলুস উসমান ১০১ ভলিউমের সমাপ্তি।