Kurulus Osmanকুরুলুস উসমান

কুরুলুস উসমান সিজন ৪ ভলিউম ৯৯ বাংলা সাবটাইটেল-Osman Online Bangla

অনুবাদ মিডিয়া কুরুলুস উসমান ভলিউম ৯৯ বাংলা সাবটাটেল

কুরুলুস উসমান সিজন ৪ এ কি কি ঘটনা দেখাতে পারে তা এই আর্টিকেলটি পড়লে বুঝতে পারবেন।

কুরুলুস উসমান সিজন ৪ ভলিউম ৯৯ বাংলা সাবটাইটেল দেখুন পোস্টের নিচে

পরিবারের সঙ্গে সাম্রাজ্যের একটা মৌলিক মিল আছে। পরিবারের মতো সাম্রাজ্যও একটা সাধারণ পরিচয় দেয়। এই পরিচয় নানা ধর্মের, গোত্রের, বর্ণের মানুষকে গ্রহণ করাতে পারাই হলো সাম্রাজ্যের সাফল্য। যত বেশি মানুষ পরিচয় গ্রহণ করে, সাম্রাজ্য তত বড়ো হয়। যত সহজে এই পরিচয়কে মানুষ মন থেকে গ্রহণ করে নেয়, সাম্রাজ্যের ভিত হয় তত মজবুত।

ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষে উসমান গাজি যখন তার ছোট্টো সালতানাতটা স্থাপন করেছিলেন, তখন তার সঙ্গী হওয়া ছিল খুব সহজ। উসমান গাজির কাছে যাও, আনুগত্যের শপথ নিয়ে তার সাথে দুপুরের খাবারে নুন খাও, যুদ্ধের সময় তার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করো, তুমি অটোমানদের একজন হয়ে যাবে।

এই সাধারণ পরিচয় শুধু মুসলিমদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। বাইজান্টাইন তেকফুরদের (জমিদার) শাসনে বিরক্ত বহু খ্রিষ্টান এই পরিচয়ে শামিল হয়েছিল। এর পেছনে মূল কৃতিত্ব উসমান গাজির ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের। তিনি যুদ্ধ বাঁধাতে যেমন দক্ষ ছিলেন, তেমনি দক্ষ ছিলেন সন্ধি করতেও। মানুষকে নিমিষে নিজের বন্ধু বানিয়ে দলে ভেড়াতে তার সময় লাগত না। মাওলানা রুমির ভক্ত হওয়ায় খ্রিষ্টানদের সঙ্গে ভাব জমাতেও তার সময় লাগত না।

নিজের উদ্দেশ্যের পাশাপাশি তার মিত্রদের স্বার্থের দিকেও খেয়াল রাখতেন বলে এটা সবার কাছে পরিষ্কার ছিল, উসমানের সঙ্গে থাকলে ঠকতে হয় না। এভাবেই উসমানের অধীনে অনেক সাধারণ বাইজান্টাইন প্রজা থেকে শুরু করে বহু বাইজান্টাইন কমান্ডারও যোগ দিয়েছিলেন গাজিদের বাহিনীতে। এদেরই একজন ছিলেন কোসে মিহাল। জন্মগতভাবে মিহাল ছিলেন খ্রিষ্টান কিন্তু উসমানের সংস্পর্শ অনেক মানুষকেই একেবারে ভেতর থেকে বদলে দিত।

মিহালও কিছুদিনের ভেতর বদলে গেলেন, কালিমায়ে শাহাদাত পড়ে মুসলিম হয়ে যাওয়ার পর মিহালের নাম হলো আবদুল্লাহ মিহাল গাজি বাইজান্টাইন সম্রাট দিনকে দিন তুর্কিদের উত্থানে হতাশ হয়ে পড়ছিলেন। নিজে হামলা করলেন, লাভ হলো না, মোঙ্গলদের পর্যন্ত ডাকলেন, তাতেও লাভ হলো না। নিরূপায় হয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি উসমানের সঙ্গে সন্ধি করতে চাইলেন। বাইজান্টাইন পরিবারের সঙ্গে আত্মীয়তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন না উসমান।

তার বড়ো ছেলে ওরহানের সঙ্গে বাইজান্টাইন প্রিন্সেস অ্যাসপোশার বিয়ে হয়ে গেল ধুমধাম করে। বাইজান্টাইন সম্রাট হয়তো তখন ভাবছিলেন, যাক। এবার হয়তো তুর্কিদের উৎপাত থেকে বাঁচা গেল। কিন্তু আনাতোলিয়ার ভূরাজনীতি তখন এমন অবস্থায় চলে গেছে যে, এই লড়াই থামানো আর কোনোভাবেই সম্ভব ছিল না। এশিয়ায় টিকে থাকতে গেলে বাইজান্টাইনদের প্রয়োজন ছিল বুরসা থেকে নিকাইয়া আর বুরসা থেকে নিকোমিডিয়ার বাণিজ্যপথকে নিয়ন্ত্রণে রাখা।

আর বাইজান্টাইনদের পতনের ওপর নির্ভর করছিল অটোমানদের টিকে থাকা। তারা জানত, আজ হোক কাল হোক, বাইজান্টাইনরা ফিরে আসবেই। বিয়ের কয়েক বছর পর যুদ্ধ থামাতে যাকে বাইজান্টাইনদের জামাই বানানো হয়েছিল সেই ওরহানই বুৱসা অবরোধ করে বসলেন । ওরহান যেদিন জন্ম নিয়েছিলেন তখনো জীবিত ছিলেন আরভুরুল বে। নিজের প্রথম নাতিকে কোলে নিয়ে তিনি তার নাম রেখেছিলেন ওরহান আর ওরহান মানে মহান নেতা।

ওরহানের গায়ে শুধু কায়িদের রক্ত নয়, সেলজুকদের রক্তও ছিল। দাদি হালিমা সুলতান ছিলেন সেলজুক রাজপরিবারের মেয়ে, ওরহানের নানিও ছিলেন সেলজুক পরিবারের মেয়ে। ওরহানের নানা উমার বে ছিলেন সেলজুক সরকারের মন্ত্রী।” বড়ো হওয়ার সাথে সাথে দীর্ঘদেহী, বিশাল কাঁধের অধিকারী ওরহান হয়ে উঠলেন নিজের বাবা ও দাদার মতোই বীরযোদ্ধা। ওরহানের মধ্যে দেখা যেত তার যাযাবর পূর্বপুরুষদের সব বৈশিষ্ট্য। তিনি এক জায়গায় বেশি দিন থাকতে পছন্দ করতেন না। তাকে একই দুর্গে কখনো এক মাসের বেশি থাকতে দেখা যায়নি।*

প্রতি জুম্মার নামাজের পর তিনি সঙ্গীদের নিয়ে আয়োজন করতেন বিশাল ভোজের, সেখানে প্রবেশাধিকার ছিল সব ধরনের মানুষের। যৌবনে ওরহান তার বাবার অভিযানের সঙ্গী হয়ে ওঠলেন। উসমানের বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাকে আর্থাইটিস কাবু করে ফেলল। গাজি হিসেবে বাইজান্টাইনদের বিরুদ্ধে জিহাদের নেতৃত্ব এবার কাঁধে তুলে নিলেন সোনালি দাড়িওয়ালা যুবক গুরহান। বুরসা আক্রমণ করার পর তিনি দেখলেন, এই ধরনের উঁচু দেয়ালে ঘেরা শহর দখলের জন্য যে ধরনের যন্ত্রপাতি লাগে, তা তার কাছে নেই। ওরহান তাই ভিন্ন এক কৌশলে এগোলেন।

তিনি প্রথমে নিজের বাহিনীকে শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে সরিয়ে আনলেন, যেখান থেকে অটোমানদের তির শহরের ভেতরে গিয়ে পড়লেও শহরে থাকা বাইজান্টাইনদের তির তার শিবির পর্যন্ত পৌঁছত না। তারপর চতুর্দিক থেকে শহরে ঢোকার পথগুলো তিনি একে একে বন্ধ করে দিলেন। সাত বছর ধরে অটোমানরা অবরোধ করে রাখল এশিয়ায় বাইজান্টাইনদের সেরা শহর বুরসা।

খাবারের অভাবে পালিয়ে যেতে বাধ্য হলো প্রচুর বুরসাবাসী। ১৩২৬ সালের বসন্তের শুরুতে শহরে থাকা সেনা গ্যারিসনের খাবার মজুদ ফুরিয়ে এলে তারা বিনাযুদ্ধে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হলো ” বুসা বিজয় ছিল অটোমানদের জন্য একটা মাইলফলক। এর মধ্য দিয়ে আনাতোলিয়ায় অটোমানরা বাইজান্টাইনদের সমকক্ষ এক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল। বুরসা জয়ের সংবাদ নিয়ে দ্রুত ইয়েনিশেহেরের দিকে ছুটলেন ওরহান। তাকে বলা হয়েছিল তার বাবার অবস্থা ভালো না।

ইয়েনিশেহেরে পৌঁছে ওরহান তার মৃত্যুপথযাত্রী বাবাকে বিজয়ের সুসংবাদ দিলেন। উসমান গাজি তখন নিজের জীবনের শেষ প্রান্তে চলে এসেছিলেন, মৃত্যুর আগে তার মনে হলো, সন্তানদের কিছু নসিহত করে যাওয়া দরকার। নিজের দুই ছেলে ওরহান আর আলাউদ্দিনকে কাছে ডেকে ওসমান জীবনে শেষবারের মতো নসিহত দিলেন।

“প্রিয় সন্তান, সবার আগে ধর্মের প্রতি যত্নবান হও।

ধর্মীয় অনুশাসন একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ে তোলে, যা অন্য কোনোভাবেই অর্জন করা যায় না। কোনোভাবেই ধর্মীয় বিষয়ে কোনো অযোগ্য, দুর্বল, অবিশ্বাসী, অবিবেচক ও উদাসীন লোককে দায়িত্ব দেবে না। একইভাবে এ ধরনের কোনো লোককে কখনোই কোনো প্রশাসনিক কাজেরও দায়িত্ব দেবে না। রাষ্ট্র পরিচালনার সময় শুধু আল্লাহর ওপরই ভরসা করবে। মনে রাখবে, যার ভেতর স্রষ্টার ভয় থাকে, সে কখনো সৃষ্টির ভয়ে ভীত হয় না। তাই কখনোই কোনো পাপীকে রাষ্ট্রীয় কাজের দায়িত্ব দেবে না। যারা পাপ কাজে জড়িত থাকে, তাদের কাছ থেকে বিশ্বস্ততা আশা করা যায় না।

রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড়ো সম্পন্ন হচ্ছে জ্ঞানী ব্যক্তি, পুণ্যবান ব্যক্তি, শিল্পী ও শিক্ষিত জনগণ। এরাই রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মূল শক্তি। তাদের মর্যাদা ও নম্রতার সঙ্গে পরিচালনা করবে। যখনই কোনো পুণ্যবান ব্যক্তির সন্ধান পাবে, তাকে তোমার কাছে নিয়ে আসবে, সম্মান ও সম্পদ দান করবে এবং তার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবে। ধর্মীয় ও প্রশাসনিক বিষয়গুলো সবসময় নিয়মানুবর্তিতার সঙ্গে পালন করবে।

আমার উদাহরণ থেকে শিক্ষা নাও। আমি একজন দুর্বল নেতা হিসেবে এখানে এসেছিলাম। আল্লাহ আমাকে এমন মর্যাদা দিয়েছেন, যা অর্জন করার যোগ্যতা আমার ছিল না। যেকোনো পরিস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শ, দ্বীন-ই মুহাম্মাদিকে রক্ষা করবে। সেইসঙ্গে রক্ষা করবে মুমিনদের এবং তোমাদের অনুসারীদের। আল্লাহ ও তার বান্দাদের হক সম্পর্কে সর্বদা সজাগ থাকবে। তোমাকে যে উপদেশ দিয়ে যাচ্ছি, তোমাদের পুত্রদেরকেও একইভাবে উপদেশ দিতে ভুলবে না।

তোমাদের জনগণকে সাম্য ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে শাসন করবে। কখনো তাদের প্রতি অন্যায্য আচরণ করবে না। তাদের প্রতি সদয় থাকবে ও শত্রুদের আক্রমণ ও নিষ্ঠুরতা, থেকে তাদের রক্ষা করবে। কখনো কারও সঙ্গে অশোভন আচরণ কোরো না। জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞ থেক, তাদের স্বার্থ রক্ষা কোরো। তারা ভালো থাকলেই তোমরা ভালো থাকবে। উসমান গাজির মৃত্যু হলো ।

জীবদ্দশায় তিনি কোনো বিশাল সাম্রাজ্য বা বিশাল সেনাবাহিনী গড়ে যেতে পারেননি, তার কোনো প্রাসান ছিল না। যুদ্ধের মাধ্যমে যা জয় করেছিলেন, তার বেশিরভাগই সারা জীবন তিনি ভাগ করে নিয়েছেন নিজের সঙ্গী-সাথিদের ভেতর। পশ্চিমা ঐতিহাসিকদের অনেকে উসমান গাজিকে দেখাতে চেষ্টা করেন একজন লুটেরা হিসেবে, যার প্রধান উদ্দেশ্য বাইজান্টাইনদের লুট করা।

অথচ মৃত্যুর সময় তার বাক্তিগত সম্পদ বলতে ছিল একজোড়া বুট, একটা তিরের বাক্স, একটা বর্ণা, কয়েকটা ধনুক, একটা তলোয়ার, কিছু কাঠের চামচ, একটা লবনের বয়াম, কাফতান, জোব্বা, ডজন খানেকের মতো ঘোড়া আর তিনটা ভেড়ার পাল। উসমান গাজির শেষ কথাগুলোই ছিল পরবর্তী শতাব্দীগুলোতে অটোমান সালতানাতের মূলনীতি, যা তাদের তিন মহাদেশে বিস্তৃত এক মহা হয়ে উঠতে পথ দেখিয়েছিল।

সুলতান হওয়ার পর ওরহানের প্রথম কাজ হলো রাজধানী ইয়েনিশেহের থেকে বুরসায় নিয়ে যাওয়া। সেখানে তিনি উসমানকে পুনরায় কবর দিলেন। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই ওরহান বুরসাকে গড়ে তুললেন নতুন এক সমৃদ্ধশালী শহর হিসেবে।

ইবনে বতুতা তার বর্ণনায় বুরসাকে সুরম্য দালান, চমৎকার বাগিচা আর প্রশস্ত রাস্তার এক চমৎকার শহর হিসেবে তুলে ধরেছেন। মাত্র দুই বছরের মাথায় ওরহান আনাতোলিয়ায় বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর নিকাইয়া (ইঞ্জনিক) অবরোধ করে বসলেন। ঠিক বুরসার পদ্ধতিতেই। এবার চার হাজার যোদ্ধা নিয়ে এগিয়ে এলেন বাইজান্টাইন সম্রাট অ্যান্ড্রোনিকাস। কিন্তু ওরহান দ্বিগুণ যোদ্ধা নিয়ে তাকে ঘিরে ধরলেন। পেলিকাননের প্রান্তরে প্রথমবারের মতো কোনো বাইজান্টাইন কাইজারের মখোমুখি হলেন অটোমান।

প্রথম দফা লড়াইয়ে ভারি বর্মে ঢাকা বাইজান্টাইন পদাতিকদের ঢালের দেয়ালে আটকে গেল তুর্কিদের তির। কয়েকবার সর্বশক্তিতে আঘাত হেনেও গ্রিকদের সুশৃঙ্খল কাতারগুলোতে ভাঙন ধরাতে ব্যর্থ হলেন ওরহান। গ্রিকরা একটা সচল দেয়ালের মতো ফরমেশন নিয়ে এগিয়ে আসতে থাকল ওরহানের মূল বাহিনীর দিকে। এই ধরনের শেকলের মতো ফরমেশনে থাকা একশো যোদ্ধা অনেক সময় পাঁচশোর সমান হয়ে দাঁড়ায়।

দ্বিতীয় দফা লড়াই শুরু হলো। ইয়া আল্লাহ, বিসমিল্লাহ, আল্লাহু আকবার’ রব তুলে ওরহান তীব্র এক ক্যাভালরি চার্জ শানালেন। কিন্তু দুহাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী গ্রিক দেয়াল এতেও ভাঙল না। উলটো গ্রিকদের বর্শার আঘাতে শহিদ হয়ে গেলেন বেশ কয়েকজন গাজি।

এই পরিস্থিতিতে ওরহান দ্রুত নিজের বাহিনী নিয়ে পিছু হটার ভান করলেন। তাদের ভাবসাব দেখে বাইজান্টাইনরা ডাবল গাজিরা ভয় পেয়ে পালাচ্ছে। গাজিদের পিছু ধাওয়া করতে করতে তারা এক সরু উপত্যকায় চলে এলো, আর এখানেই ওরহান ঘুরে দাঁড়ালেন।

বিখ্যাত তুমুলামা (পার্থিয়ান শট) তিরন্দাজির নির্ভুল প্রয়োগে অসংখ্য গ্রিক যোদ্ধা তুর্কিদের হামলায় হতাহত হলো। কাইজার নিজের বাহিনীকে একটি পাহাড়ের ওপর সরিয়ে নিতে বাধ্য হলেন। সন্ধ্যায় সিদ্ধান্ত হলো, তারা পরদিন ভোর হওয়ার আগেই এখান থেকে পালিয়ে যাবেন। কিন্তু ওরহান তাদের সেই সুযোগ দিলেন না। গভীর রাতে ‘হাইদির আল্লাহ’ রবে প্রকম্পিত হয়ে ওঠল বাইজান্টাইন ক্যাম্প।

প্রচণ্ড আক্রমণে হাজারেরও বেশি বাইজান্টাইন সৈন্য নিহত হলো। কাইজার নিজে আহত হলেন, আহত হলেন তার চাচা কাটাকুজিন । বাধ্য হয়ে প্রচুর সম্পদ ফেলে তারা পালিয়ে গেলেন কনস্ট্যান্টিনোপলে। পেলিকাননের এই লড়াই ছিল এশিয়া মাইনরে বাইজান্টাইনদের বিদায় ঘণ্টাস্বরূপ। বাইজান্টাইনরা আর কোনো দিন এশিয়ায় ফিরে আসেনি। বাফিউসের যুদ্ধ, বুরসা জয় আর পেলিকাননের যুদ্ধ, এই তিনটি ঘটনা এক নতুন আঞ্চলিক পরাশক্তির জন্মের ইঙ্গিত দেয়। একশো বছর আগে যারা মোঙ্গলদের তাড় খেয়ে সব হারিয়ে আনাতোলিয়ায় এসেছিল, সময়ের পরিক্রমায় তারা আনাতোলিয়া শাসক হয়ে ওঠেছে।

কুরুলুস উসমান ভলিউম ৯৯ বাংলা সাবটাইটেল

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button