Alparslan

আল্প আরসালান ভলিউম ৩০ বাংলা সাবটাইটেল-Alparslan Volume 30 Bangla Subtitles

সুলতান আল্প আরসালান ভলিউম ৩০ বাংলা সাবটাইটেল উসমান অনলাইন বাংলা

মানজিকার্টের যুদ্ধ দ্বিতীয় ইয়ারমুক

আল্প আরসালান ভলিউম ৩০ বাংলা সাবটাইটেল দেখুন পোস্টের নিচে

সুলতান আলপ আরসালানের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো মানজিকার্টের যুদ্ধ। এই যুদ্ধ তাকে ইসলামের  সামরিক ইতিহাসে এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য দান করেছে। এ যুদ্ধ ছিল রোমানদের বিরুদ্ধে এক অসম লড়াই। জয়ের কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। তবু সুলতান অসীম সাহসে ভর করে মুখোমুখি হয়েছিলেন রোমানদের। ছিনিয়ে এনেছিলেন বিজয়। ফলে ইতিহাসে এই যুদ্ধকে নামকরণ করা হয়েছে দ্বিতীয় ইয়ারমুক নামে।

যুদ্ধের বিবরণে যাওয়ার আগে রোমানদের সম্পর্কে কিছুটা আলোকপাত করা প্রয়োজন।

ইসলমের আবির্ভাবের পরপরই রোমান সাম্রাজ্য এক শক্তিশালী নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল। সাহাবায়ে কেরামের যুগেই মুসলমানরা সিরিয়া ও মিসর জয় করে। সেখান থেকে বাইজেন্টাইনদের শাসনের অবসান ঘটে। উমাইয়ারা এ সাম্রাজ্যকে জয় করার জন্য দুটি জোরদার চেষ্টা করেছিল, প্রথমটি ৬৭৪-৬৭৮ খ্রিষ্টাব্দে এবং পরেরটি ৭১৭ খ্রিস্টাব্দে কনস্টান্টিনোপল অবরোধ করার মাধ্যমে। অভিযানের এ ধারা হয়তো নিয়মিত চালু থাকতো। কিন্তু ৭৫০ খ্রিষ্টাব্দে আব্বাসিদের হাতে উমাইয়াদের পতন হলে পরিস্থিতি বদলে যায়।

আব্বাসিরা রাজাজয়ের উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা ত্যাগ করেছিলেন এবং নিয়মিত সামরিক অভিযানের পরিবর্তে তারা শুধু বিশেষ পরিস্থিতির উদ্ভব হলেই অভিযান পরিচালনা করতেন। তবে বাইজেন্টাইনরা বরাবরই আব্বাসিদের সমীহের চোখে দেখতে বাধ্য হতো। খলিফা হারুনুর রশিদের সময় সম্রাট নাইসফোরাস চুক্তি ভঙ্গ করলে সুলতান তাকে কঠোর জবাব দিয়েছিলেন। তার পরেও বিভিন্ন সময় আব্বাসিরা তাদের অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে কখনো কখনো বাইজেন্টাইন, আনাতোলিয়ার ভেতরেও প্রবেশ করতেন। যেমন, খলিফা মু’তাসিমের শাসনামলের (৮৩৩-৮৪২ খ্রিষ্টাব্দ) মাঝামাঝি ৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দে মধ্য পশ্চিম আনাতোলিয়ায় অ্যামোরিয়ামে মুসলিম বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে শহরটি জয় করে।

তবে নবম শতাব্দীর দিকে পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। এসময় আব্বাসিরা তাদের শক্তি হারাতে থাকে। তাদের মাথার ওপর কর্তৃত্বের ছড়ি ঘুরাতে থাকে অন্যরা। আব্বাসিদের অর্থনীতি হ্রাস পাচ্ছিল এবং সরকার ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দলাদলি দ্বারা পঙ্গু হয়ে পড়েছিল। এই বিভক্তি ও দুর্বলতার সুযোগ কাজে লাগিয়েছিল বাইজান্টাইনরা। তারা হারানো সাহস ফিরে পায়। একের পর এক অভিযানের মাধ্যমে শতাব্দীর পরিক্রমায় তাদের হারিয়ে যাওয়া প্রদেশ ইলিরিকাম, গ্রীস, বুলগেরিয়া, উত্তর সিরিয়া, সিলিসিয়া এবং আর্মেনিয়া পুনরুদ্ধার করে৷ তাদের বিরুদ্ধে খিলাফত কিংবা অন্য শাসকদের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

সত্যি বলতে সেসময় এ ধরনের কোনো অভিযান পরিচালনার সাহস ও শক্তিই ছিল না কারো। বাইজেন্টাইনরা ক্রমেই লোভী হয়ে উঠছিল এবং তারা তাদের হারানো অঞ্চলগুলো ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু যুদ্ধের ময়দানে নতুন এক শক্তির আবির্ভাব পরিস্থিতি বদলে দেয়। নতুন এই শক্তি ছিল সেলজুক তুর্কিরা, যারা আব্বাসি খিলাফতকে পতনের হাত থেকে রক্ষা করেছিল এবং উম্মাহকে নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। সেলজুকদের আচমকা উত্থান সব ছক বদলে দেয়। বুওয়াইহিরা বিদায় নেয় ক্ষমতার মসনদ থেকে, ফাতেমিরাও তাদের কর্তৃত্ব হারায় বিভিন্ন শহর থেকে।

সেলজুকদের উত্থান বাইজেন্টাইনদের জন্যও হুমকি ছিল। এই হুমকির প্রথম প্রকাশ ঘটে নবম কনস্টান্টাইনের শাসনামলে, যখন সেলজুক তুর্কিরা আর্মেনীয় রাজধানী আনি অধিকারের প্রচেষ্টা চালায়। এই অভিযানের মধ্যে দিয়েই সেলজুক-বাইজেন্টাইন দ্বন্দ্বের শুরু হয়। পরিস্থিতির কারণে কনস্টান্টাইন বাধ্য হয়ে সেলজুকদের সাথে একটি চুক্তি করেন এবং তা ১০৬৪ সাল পর্যন্ত টিকে ছিল। এরপর তারা আনি অধিকার করে এবং ১০৬৭ সালে কায়সারিয়াসহ আর্মেনিয়ার বাকি অংশ অধিকার করে নেয়। ১০৬৮ সালে চতুর্থ রোমানোস ক্ষমতা লাভ করেন এবং দ্রুত কিছু সামরিক সংস্কারের পর সেলজুকদের বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য ম্যানুয়েল কোমনেনাসকে দায়িত্ব দেন। ম্যানুয়েল সিরিয়ার মানবিজ দখল করেন।

এরপর তিনি কোনিয়ায় একটি তুর্কি আক্রমণ প্রতিহত করেন, কিন্তু পরে সুলতান আলপ আরসালানের কাছে পরাজিত ও বন্দি হন। সাফল্য সত্ত্বেও আলপ আরসালান ১০৬৯ সালে বাইজেন্টাইনদের সাথে একটি শান্তিচুক্তি করেন। এসময় মিশরের ফাতেমিরা তার প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছিল। ফলে তিনি সেদিকেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন। ১০৭১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রোমানোস চুক্তি নবায়নের জন্য আলপ আরসালানের কাছে দূত পাঠান। সুলতান এতে সম্মতি দেন। এডেসার অবরোধ তুলে নিয়ে তিনি ফাতেমিদের অধিকারে থাকা আলেপ্পোর দিকে যাত্রা করেন। রোমানোস হৃত দুর্গ পুনরুদ্ধারের জন্য আর্মেনিয়ার দিকে একটি বৃহদাকার বাহিনী নিয়ে যাত্রা করেন, ফলে শান্তিচুক্তি ভেঙে যায়।

তবে একজন শাসক হিসেবে রোমানোসের কেবলমাত্র আর্মেনিয়াকেই নয়, তার সিংহাসনকে রক্ষা করার জন্যও একটি বৃহৎ বিজয়ের প্রয়োজন ছিল। ১০৭১ খ্রিষ্টাব্দের গ্রীষ্মে (৪৬৩ হিজরি) রোমানোস সেলজুকদের ওপর চূড়ান্ত আঘাত হানার সিদ্ধান্ত নিলেন। সে বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রোমানোস সুলতান আলপ আরসালানের কাছে দূত পাঠিয়ে চুক্তির সময়সীমা বৃদ্ধি করতে চান এবং সুলতান সায় দিলে চুক্তিটি নবায়ন করা হয়।

মূলত তার পরিকল্পনা ছিল চুক্তির আড়ালে সুলতানকে বিভ্রান্ত করা। সুলতান যখন শান্তিচুক্তির কথা বাইজেন্টাইনদের ব্যাপারে নিরাপদ বোধ করবেন, ঠিক তখনই হামলে পড়বে রোমানোসের বাহিনী। চুক্তি চলাকালীন সময়ে রোমানোস যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকেন, যদিও সুলতান আলপ আরসালান তার এসব তৎপরতা সম্পর্কে জানতেন না।

১০৭১ খ্রিষ্টাব্দের আগস্টের শুরুতে রোমানোস দুই লক্ষ সেনারা এক সুবিশাল বাহিনী নিয়ে ইসলামি ভূখণ্ডের দিকে ধেয়ে আসেন। তার এই বাহিনীতে গ্রীক, ফ্রেঞ্চ, রাশিয়ান, জর্জিয়ান, আর্মেনীয় এবং আরও অনেক জাতির লোক ছিল। ঐতিহাসিক গিবনের মতে এটি রোমান সাম্রাজ্য, পূর্ব বা পশ্চিমের দ্বারা রক্ষিত সর্বকালের বৃহত্তম সেনাবাহিনী। এই বাহিনী ছিল আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত এবং তারা এসেছিল ইসলামের ভূখণ্ডে আক্রমণ করে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে।

এই বাহিনীর বিশালতা ও শক্তিমত্তা ঐতিহাসিকদের কিছু বক্তব্য থেকে অনুমান করা যায়। ইমাম যাহাবি এই যুদ্ধ সম্পর্কে লিখেছেন, এই যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সেনাদের সারি ছিল।  ঐতিহাসিক ইয়াফেয়ি এই যুদ্ধকে বলেছেন, আল মালহামাতুল কুবরা—মহাযুদ্ধ।  ইবনু তাগরি বারদি এই যুদ্ধকে বলেছেন মুসলমান ও রোমানদের মাঝে সংঘটিত সর্ববৃহৎ যুদ্ধ। আগস্ট এই বাহিনী মানজিকার্টে পৌঁছে যায়। তাদের চোখে ছিল রাজ্যজয়ের স্বপ্ন।

ঐতিহাসিক ইমামুদ্দিন ইস্ফাহানি লিখেছেন, তারা স্বপ্ন দেখছিল বিশ্বজয়ের। তারা চাচ্ছিল সকল শাসকদের আতঙ্কিত করে তুলতে।  রোমানোসের বাহিনী নিজেদের জয়ের ব্যাপারে এতটাই নিশ্চিন্ত ছিল যে, তারা যুদ্ধের আগেই বিভিন্ন শহরের শাসনভার নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়। রোমানোস তার এক সেনাপতিকে বাগদাদের জায়গির দান করে তাকে নির্দেশ দেয়, খলিফার সাথে ভালো আচরণ করতে হবে।

বাইজেন্টাইনরা যখন মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল ভাগ করে নিচ্ছে মানজিকার্টের ময়দানে বসে, সুলতান আলপ আরসলান তখন ব্যস্ত ছিলেন আজারবাইজান অবরোধে। তিনি পরিবারসহ তার বাহিনীর সাথে খুওয়াই শহরে অবস্থান করছিলেন। সেখানেই তিনি সংবাদ পেলেন রোমানোস দুই লক্ষ সেনাসহ মানজিকার্টে পৌঁছেছে। সুলতানের জন্য এটি ছিল খুবই হতাশাজনক সংবাদ। কারণ, তার সাথে সেসময় মাত্র পনেরো হাজার সেনা ছিল। সেলজুকবাহিনীর অন্য সেনারা বিভিন্ন শহরে অবস্থান করছিল, যাদেরেকে স্বল্প সময়ের মধ্যে একত্রিত করা সম্ভব ছিল না। অথচ তাকে রোমানোসের মোকাবেলা করতে হবে দ্রুতই। সুলতানের সামনে তখন দুটি পথ খোলা ছিল। হয়তো মোকাবেলা, নয়তো পলায়ন। সুলতান প্রথমটিই বেছে নিলেন।

তিনি দ্রুত নিজের বাহিনী নিয়ে মানজিকার্টের দিকে এগিয়ে এলেন। এটি ছিল তার সাহসের এক অনুপম দৃষ্টান্ত। শক্তির বিচারে তার বাহিনী রোমানোসের বাহিনীর ধারেকাছেও ছিল না। পথে সুলতানের বাহিনী রোমানসের বাহিনীর অগ্রবর্তী দলের মুখোমুখি হলো। এই বাহিনীর সেনাসংখ্যা ছিল ১০ হাজার। সংক্ষিপ্ত যুদ্ধের পর এই বাহিনী পরাজিত হয়। তাদের সেনাপতিকে গ্রেফতার করা হয়। সুলতান আলপ আরসালান তার বাহিনী নিয়ে রোমানোসের বাহিনীর কাছাকাছি পৌঁছে যান। এরপর তিনি দূত পাঠিয়ে রোমানসকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন। রোমানোস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল।

সে জবাব দিয়েছিল, আমি অনেক সম্পদ ব্যয় করেছি এবং এক বিশাল সেনাবাহিনী প্রস্তুত করেছি আজকের এই পরিস্থিতির জন্য। সুতরাং কোনো সন্ধি বা চুক্তির পথে আমি যাব না। আমি মুসলিম ভূখণ্ডের সেই অবস্থাই করব, যা করা হয়েছে রোমানদের ভূমির সাথে ।

রোমানোস আরেকজন দূতের মাধ্যমে একটি সংক্ষিপ্ত বার্তা পাঠিয়েছিল, যাতে তার দম্ভ ও আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠেছিল। সেই বার্তায় সে বলেছিল, ‘আমি এমন বাহিনী নিয়ে এসেছি, আপনি যার প্রতিরোধ করতে পারবেন না। তাই স্বেচ্ছায় আমার আনুগত্য মেনে নিন’।

তার এই বার্তা সুলতান আলপ আরসালানকে ক্রুদ্ধ করেছিল। তিনি দৃপ্তকণ্ঠে বলেছিলেন, ‘তোমার মনিবকে বলো, আমার রব আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন, যেন আমি তার প্রশংসা করতে পারি। আমার রব তোমাদেরকে এখানে নিয়ে এসেছেন যেন তোমরা মুসলিমদের খাবার রান্না করো”।(৩২)

এই উত্তপ্ত কথোপকথনের পর নিশ্চিত হয়ে যায় যুদ্ধ শুরু হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সেনারা তাদের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত হতে থাকে। সুলতান নিজেও চুড়ান্ত লড়াইয়ের মানসিক প্রস্তুতি নেন। তিনি জানতেন, নিজের বাহিনীর চেয়ে দশগুণ বড় এক বাহিনীর মোকাবেলা করতে যাচ্ছেন তিনি। বাহ্যিক দৃষ্টিতে জয়ের কোনো সম্ভাবনাই নেই। কিন্তু অন্য ধর্মালম্বীদের সাথে মুসলমানদের বিশ্বাসের বড় একটা তফাত হলো, তারা বিশ্বাস করে জয় পরাজয় আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। তিনি দুর্বলের মাধ্যমে শক্তিশালীদের পতন ঘটান। তিনি মাজলুমের আহবানে সাড়া দেন। তাদেরকে জয়ী করেন জালিমদের মোকাবেলায়। তিনি এমন সময় বান্দাকে সাহায্য করেন, যখন তার পাশে কোনো সাহায্যকারী থাকে না।

সুলতান আলপ আরসলানকে তার সেনাবাহিনীর ইমাম ও শিক্ষক আবু নসর মুহাম্মদ ইবনু আবদুল মালিক বুখারি পরামর্শ দিয়ে বলেছিলেন, ‘আপনি আল্লাহর দ্বীনের জন্য লড়ছেন। যে দ্বীনকে তিনি পৃথিবীর সকল দ্বীনের ওপর বিজয়ী করার ওয়াদা

করেছেন। আমি আশা করি, আল্লাহ এই বিজয় আপনার জন্যই নির্ধারণ করেছেন। আপনি যুদ্ধের জন্য শুক্রবার দুপুরকে বেছে নিন। খতিবরা তখন থাকবেন মিম্বরের ওপর, এবং তারা দোয়া করবেন মুজাহিদদের জন্য।

আবু নসর মুহাম্মদ ইবনু আবদিল মালিক বুখারির এই নসিহত সুলতানের মনকে প্রশান্ত করে তোলে। মূলত, এটিই একজন প্রকৃত আলেমের দায়িত্ব। একজন প্রকৃত আলেম যখন শাসকের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন, তখন তার উদ্দেশ্য থাকে শাসকের মধ্যে দ্বীনি চেতনা জাগ্রত করা এবং দ্বীনি বিষয়ে তাকে সাহায্য করা। তিনি শাসকের তোষামোদ করে পার্থিব স্বার্থ অর্জন করার বদলে দ্বীনি বিষয়গুলোকেই প্রাধান্য দেন।

ফলে শাসকদের জন্য আলেমদের সান্নিধ্য অর্জন জরুরি। মানজিকার্টের যুদ্ধে সুলতান আলপ আরসালান যুদ্ধ শুরুর আগেই এক প্রকার প্রশান্তি অর্জন করেছিলেন, আর তা সম্ভব হয়েছিল আলেমদের সান্নিধ্যের কারণেই। এই ঘটনার চারশো বছর পরেও ইতিহাসে আমরা এমন আরেকটি ঘটনা দেখতে পাই। উসমানি সুলতান মুহাম্মদ আল ফাতিহ যখন কনস্টান্টিনোপল অবরোধ করে রেখেছিলেন, তখন শহরটি জয় করতে না পেরে এক পর্যায়ে তিনি হতাশ হয়ে যান। তখন তার শিক্ষক শায়খ আক শামসুদ্দিন তাকে উৎসাহ ও প্রেরণা দেন। এর কিছুদিন পরেই কনস্টান্টিনোপল বিজিত হয়।

আর্টিকেলটির পর্বরতী অংশটি আল্প আরসালান ভলিউম ৩১ এ দেয়া হবে।ধন্যবাদ।

আল্প আরসালান ভলিউম ৩০ বংলা সাবটাইটেল 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button