Alparslanসেলজুক

আল্প আরসালান ভলিউম ২৭ বাংলা সাবটাইটেল উসমান অনলাইন

আল্প আরসালান ভলিউম ২৭ বাংলা সাবটাইটেল উসমান অনলাইন

অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাসে প্রধান উজিরেরা গুরুতৃপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রধান শ্বেত নপুংসকের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে বিদ্যালয় পরিচালিত হতো । এছাড়াও একদিকে রাজকীয় খাজানা ও অন্যদিকে প্রিভি কমিসারিয়েটের নিয়ন্ত্রণ বজায় থাকতো । বয়সানুযায়ী প্রথমে দুটি প্রিপারেটরি বিদ্যালয় এবং এর পর দুটি ভোকেশনাল ট্রেনিং বিদ্যালয়ের ব্যবস্থা ছিল। নিজের রাজত্বের শেষ দিকে মাহমুদ তৃতীয় আরেকটি ভোকেশনাল ট্রেনিং বিদ্যালয় শুরু
করেছিলেন।

শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত মেধার ওপর লক্ষ্য রেখে তাদেরকে সমর্থ, উদ্যোগী ও নেতৃত্বের গুণসম্পন্ন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিজ নিজ বিষয় পছন্দ করে নিতে উৎসাহ দেয়া হতো। এই প্রাসাদীয় বিদ্যালয়ে অথবা রাষ্ট্রীয় দপ্তর সর্বত্র একটি নিয়ম কঠোরভাবে পালন করা হতো । প্রভুর প্রতি ছোষ্ট একটি সেবাদানেও যেমন পুরস্কার মিলত তেমনি ভাবে ছোট্ট একটি ভুলের জন্যও বরাদ্দ ছিল শাস্তি ।

ইসলামিক আইন এবং ধর্মতত্ব ও কোরআন মেনে চলা ছাড়া প্রাসাদ বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে মোটামুটিভাবে ধর্মনিরপেক্ষ ছিল। ধর্মের তুলনায় দেশ গঠন এবং সামরিক শিক্ষার ওপর বেশি গুরুত্রোপ করা হতো । প্রথম দিকে উলেমা সম্প্রদায় থেকে শিক্ষক নিয়োগ করা হলেও মাহমুদ ধীরে ধীরে নিজের কোর্ট থেকে বিভিন্ন বিষয়ে পণ্তিত, বিজ্ঞানী ও বিদ্বান ব্যক্তিদেরকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দান করতেন। এসব শিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা িক এবং ল্যাটিন সম্পর্কেও শিক্ষা লাভের সুযোগ পেত। তাই এ অটোমান রাষ্ট্রকে প্লেটোর রিপাবলিকের সাথে তুলনা করা হতো। এর ফলে যেসব বাইজেন্টাইন গ্রিক দেশ ছেড়ে ইটালি চলে গিয়েছিল, তারাও আবার দেশে ফিরে আসে।

প্রাসাদ বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে কলা, শারীরিক চর্চা ও প্রশিক্ষণ এবং বিভিন্ন বিষয়ের ভোকেশনাল ট্রেনিং অন্তর্ভুক্ত ছিল। কলাবিদ্যার ক্ষেত্রে তুর্কি, আরবি এবং পারস্যের ভাষা অন্তর্ভূক্ত ছিল। বিশেষ ভাবে তুর্কি ভাষা শিখতেই হতো । আরবি ভাষার ব্যাকরণ, পারস্য সাহিত্যের কবিতা ও রোমাঞ্চ বিষয়েও জানতে হতো শিক্ষার্থীদেরকে । তুর্কি ইতিহাস ও গণিতের ক্ষেত্রে জ্যামিতি ওপাটিগণিত শিখতে হতো ।

তুর্কি সংগীত ও আয়ত্ত করতে হতো । প্রাসাদে মনোরঞ্জনের জন্য প্রায় সংগীতায়োজন করা হতো। এছাড়া সূর্য র আগে আধা ঘণ্টা ও সূর্য ডোবার পরে আধা ঘণ্টা গান গেয়ে সুলতানকে মান জানানোর নিয়ম ছিল।শারীরিক শিক্ষার মধ্যে জিমন্যাস্টিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সুলতানের বালক ভত্যরা হয়ে উঠত সুঠাম শক্তিশালী ও চটপটে। তীর ছোড়া, কুস্তি, তরবারি পানো, বর্শা নিক্ষেপ, পোলোর প্রথম দিককার খেলা চর্চা করত এরা । ধীরে ঘরে ঘোড়ায় চড়াও গুরুতৃপূর্ণ হয়ে ওঠে।

সবশেষে বলা যায় ব্যবসা বা হাতের বিদ্যার কথা; যা প্রতিটি গ[নিসারিসকে অবশ্যই শিখতেই হতো । সুলতানরা নিজেরাও তাই করতেন। খুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ নিজে একজন দক্ষ বাগান পরিচর্যাকারী ছিলেন৷ নিজ হাতে অবসর সময়ে প্রাসাদের বাগানে তিনি শুধু ফুল এবং গাছপালা লাগাতেন শা, এমনকি সবজির চাষও করতেন । এক্ষেত্রে একটি গল্পের কথা বলা যায়।
একবার তিনি এত বড় একটি শসা ফলিয়েছেন যে গর্ধোধ করেছিলেন । শিস্ত শসাটি বাগান থেকে উধাও হয়ে যায়। সন্দেহের বশে নিজের এক মালিকে কেটে ফেলেন সুলতান আর শসার অবশিষ্টাংশ মালির পাকস্থলীতে দিখতে পান। এছাড়াও বালক ভূত্যদেরকে সুলতানের পছন্দের খাবার ও পানীয় তৈরি, মাথার তাজ বানানো, চুল কাটা, দাড়ি কামানো প্রভৃতি শিখতে হতো ।

রাজধানীর বাইরে অটোমান সাম্রাজ্যের প্রশাসন মূলত সেনাবাহিনীর ওন্নয়নে বেশি গুরুত্বারোপ করত। এর প্রধান হিসেবে সামরিক আঘা-রা আভ্যন্তরীণ আঘাদের তুলনায় ভিন্ন দায়িত্ব পালন করত। উলেমা থেকে বিচারক নিয়োগ দিতেন সুলতান। সামরিক উপাদানের শর্ত মেনে নিয়ে অটোমান প্রদেশসমূহ কঠোর কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণে থাকত। প্রধানত দুটি অংশ ‘আনাতোলিয়া ও রুমেলিতে বিভক্ত এ সাম্রাজ্য দুই লেজবিশিষ্ট সম্মান পাওয়া পাশা-র অধীনে থাকত। এরা সামরিক শাসকদের মাধ্যমে কাজ করত । এরা ছিল এক লেজবিশিষ্ট সম্মান পাওয়া পাশা । সুলতানের বাহিনী, কর-
গংক্রান্ত কাজ ও পুলিশ বাহিনীর দেখাশোনা করত এরা । মাহমুদের “আমলে এ রকম পাশা এশিয়াতে ছিল বিশজন এবং ইউরোপে আটাশ গণ। এসব প্রদেশ আবার সামন্তভুমিতে বিভক্ত থাকত । নিজের কৃষক ও এর্ক বংশোদ্ভুত অশ্বীরোহীদের ওপরেও অধিকার খাটাতে পারত এ প্রা । সামরিক গভর্নরের এককথায় সৈন্য পাঠানোর জন্য সর্বদা প্রস্তুত খ।কতে হতো এদের ।

পুরো সাম্রাজ্যের মাঝে বিশাল কৃষিজমি থাকত সরাসরি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণে । সামন্তভূমি প্রধান ছিল সিপাহি। এ প্রক্রিয়াকে বলা হতো তিমার। সাম্রাজ্যের হয়, যা ধীরে ধীরে সামরিক, কৃষি ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও ছড়িয়ে পড়ে। এ প্রক্রিয়াকে জমি অনুসারে রাষ্ট্র, সিপাহি ও কৃষকেরা নিজ নিজ অধিকার ও দায়িত্ব ভাগ করে নিত। তবে জমির মালিক ছিল রাষ্ট্রী। রাষ্ট্রের অনুমোদন সাপেক্ষে সিপাহি কৃষকদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট কর সংগহ করত তার সামরিক সেবা ও নিজের ঘোড়াসওয়ারদের বিনিময়ে। কৃষক-রায়া ভূমি চাষ করত, জমির লভাংশ ভোগ করত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button