আল্প আরসালান ভলিউম ২১ বাংলা সাবটাইটেল – উসমান গাজী বাংলা
ভলিউম দেখতে পোস্টের নিচে যান
চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে আরো স্পষ্ট করে বলা হয় যে, যদি কোনো ইংরেজ বন্দি
হয়, তাহলে তাকে তৎক্ষণাৎ ছেড়ে দেয়া হবে। আইনানুযারী শুল্ক বাদে আর
কোনো কর দিতে হবে না; নিজেদের জন্য উপদেষ্টা নিয়োগ করতে পারবে
কোনো সমস্যা নিষ্পত্তির জন্য; বিক্রি মূল্য দিয়ে কোনো ইংরেজ দাসকে মুক্ত
করতে পারবে; ঝড় বা জাহাজ ভেঙে যাওয়ার মতো কোনো দুর্ঘটনায় তুর্কি
জাহাজ ইংরেজ জাহাজসমূহকে সাহায্য করবে এবং কোন বাধা ছাড়াই
নাবিকেরা রসদ, খাবার কিনতে পারবে । এরপর হারবর্ন ইংল্যান্ডে ফিরে গিয়ে
রাণির কাছে ও নিজের বণিক প্রভুর কাছে চুক্তির উন্নতি নিয়ে প্রতিবেদন পেশ
করে।
কিন্তু ইংরেজদের সাথে এ চুক্তির পরপরই ফরাসিরা খেপে ওঠে । এর
মাধ্যমে ফরাসিদের সাথে করা সকল জাহাজ এমনকি ইংরেজ জাহাজ ও
ফরাসি পতাকা তলে তৃর্কি জল সীমান্তে ব্যবসা করার চুক্তির বরখেলাপ হয়।
এই সময়ে তুর্কিদের বিশেষভাবে পশ্চিমাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও
গোলাবারুদ প্রয়োজন ছিল। পারস্যের সাথে যুদ্ধের কারণে এক্ষেত্রে ঘাটতি
দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এ চাহিদার উত্তরে জারমিনি, ফ্রেঞ্চ কূটনীতিক না-
বোধক উত্তর দেয়। কেননা গৃহযুদ্ধের ফলে ফ্রালসেও এক্ষেত্রে ঘাটতি দেখা
গিয়েছিল। অন্যদিকে ইংল্যান্ড তুর্কিদেরকে অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন কাচামাল যেমন
লোহা, স্টিল, টিন, দস্তা প্রভৃতি দিতে প্রস্তুত ছিল। মোটের ওপর সুলতান
রাণি এলিজাবেথের মাঝে স্পেনের বিরুদ্ধে নিজের সম্ভাব্য মিত্রের দেখা
পেয়েছিলেন।
ইংল্যান্ডে ফিরে এসে হারবর্ন তার কাজের ক্ষেত্রে মূল্যবান সমর্থন লাভ
করে। এর ফলাফলস্বরূপ অসবর্ণ ও তার দলের পক্ষ থেকে তুর্কি সুলতানের
কাছে দাপ্তরিক একটি আবেদনপত্রে এই সময়কার সাধারণ একটি বাণিজ্যিক
প্রতিষ্ঠানের খসড়া পাঠানো হয়। এই আবেদন মঞ্জুর করা হলে তুর্কি অঞ্চলে
১৫৮১ সালের সেপ্টেম্বরে সাত বছরের জন্য ইংরেজদের ব্যবসার অধিকার
নিশ্চিত হয়। এর মাধ্যমে লেভান্ত কোম্পানি দ্য “কোম্পানি অভ তুর্কি
ম্যারচান্টস” স্থাপিত হয়। কিন্তু রাণি এলিজাবেথ ব্যক্তিগতভাবে হারবর্নের ইস্তাম্বুলে
প্রথম যাত্রার খরচ বহন করতে রাজি থাকলেও, একটি স্থায়ী কুটনৈতিক মিশন
প্রতিষ্ঠা করা ব্যয়সাপেক্ষ হয়ে দীড়ায়। এ ব্যাপারে বিভিন্ন তর্কের পর সিদ্ধান্ত
নেয়া হয় যে কোম্পানি মিশনের খরচ চালাবে । অবশেষে ১৫৮২ সালের
নভেম্বরে সুলতানের রাজদরবারে উইলিয়াম হারবর্নকে প্রথম ইংরেজ কূটনীতিক
হিসেবে মর্যাদা দেয়া হয়। একই সাথে রাজ প্রতিনিধি ও বাণিজ্যিক এজেন্টের
উভয় দায়িতৃ বর্তায় তার ওপরে ।
“সুসান অব লন্ডন” নামে লম্বা একটি জাহাজে করে ইস্তাম্বুলে ফিরে আসে
হারবর্ন। তীরে দীড়িয়ে ছিল এক ক্কোয়াদ্রন অশ্বারোহী সৈন্য । ঢাক ও বাদ্যের
আনন্দ সংগীতের মাঝে তারা বরণ করে নেয় হারবর্নকে। পাশাদের মাঝে
বিভিন্ন উপহার বিলিয়ে দেয়ার পর আরো উপহার ও রাণি এলিজাবেথের কাছ
থেকে আনা এক পত্র নিয়ে উলুজ আলীর সাথে মিলিত হয় হারবর্ম।
এরপর সুলতানের প্রাসাদে ১৫০ পদ খাবারসহ আনন্দ আয়োজনে করা
হয় হারবর্ন ও তার দলের জন্য । পান করার জন্য ছিল “গোলাপ ভাল, চিনি ও
মসলার একত্রিত সংমিশ্রণ” কিন্তু হারবর্নের প্রতি এই সম্ভাষণ ক্ষিপ্ত হয়ে
জারমিনি তাকে “বণিকদের মামুলি বেতনভুক” হিসেবে আখ্যায়িত করে।
এমনকি যদি ইংরেজ জাহাজসমূহ নিজেদের পাতাকাতলে চলাচল করে তাহলে
ফ্রাঙ্কো-তার্কিশ মৈত্রী জোট ভেঙে দেওয়ার ও হুমকি দেয়া হয়।