Uncategorized

অনুবাদ মিডিয়া দেস্তান ভলিউম ২০ বাংলা সাবটাইটেল

ভলিউম দেখতে পোস্টের নিচে যান

অটোমান সাম্রাজ্যের আভ্যন্তরীণ স্থিরতার পাশাপাশি দেশের বাইরেও সম্মান ও শক্তি অর্জন করা। সবকিছুর ওপরে সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা ও পূর্ব গৌরব ফিরিয়ে আনার নস্থির করে কোপরুলু। ঘরের সমস্যা থেকে দূরে রেখে বাইরে অটোমান অভিযানের এঁতিহ্য ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয়ে ওঠে কোপরুলু।

তারিত গতিতে দার্দেনালেস থেকে ভেনেশীয়দের বিতাড়িত করে, টেনেডস ও লৈমনস্‌ দ্বীপ পুনর্দখল করে অটোমান নৌবাহিনীর আত্মবিশ্বাস পুনরায় ফিরিয়ে আনে প্রধান উজির। এরপর প্রণালিতে প্রবেশমুখে দুটি স্থারী দুর্ণ নির্মাণ করে আজিয়ানের বন্দর ও দ্বীপসমূহে তুর্কি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে পুনরায় ক্রিট দ্বীপে সৈন্য পাঠানোর জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে কোপরুলু। যদিও কিন্তু ভেনিসের যুদ্ধ ও ক্যান্ডিয়া অবরোধের ক্ষেত্রে বাধা অপসারিত হয়।

কোজাকদের বিরুদ্ধে কৃষ্ণ সাগরে অটোমান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ট্রাসসিলভ্যানিয়াতে অভিযান পরিচালনায় সফলতা পায় প্রধান উজির। নতুন একটি প্রদেশ গঠন করে এখানে যাতে করে হাঙ্গেরি ও অস্ট্িয়াতে বড়োসড়ো অভিযান পরিচালনা করা যায়।

পাচ বছর শাসন করে ১৬৬১ সালে কোপরুলু মাহমুদ মৃত্যুবরণ করে। মতোই অটোমান সাম্রাজ্য পরিচালনা করে। মৃত্যুশয্যায় বিশ বছর বয়সী সুলতানের জন্য অবশ্য পালনীয় চারটি নীতি প্রস্তুত করে দিয়ে যায় কোপরুলু ঃ কখনো কোনো নারীর পরামর্শে কান না দেয়া; কখনো কোনো প্রজাকে বেশিনী না হতে দেয়া; সবসময় জনগণের রাজকোষ পূর্ণ রাখা; সবসময় ঘোড়ার পিঠে থাকা, সেনাবাহিনীকে নিয়মিত কাজে ব্যস্ত রাখা।

বন্তত সুলতান মাহমুদ নিজের জীবনের বেশির ভাগ সময় ঘোড়ার পিঠে কাটিয়েছেন কিন্ত কোনো যুদ্ধে নয়, ঘোড়দৌড়ের মজা লাভের জন্য। বাল্যকাল থেকেই সব ধরনের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী সুলতান ছিলেন ঘোড়দৌড়ে পারদর্শী ও দক্ষ শিকারি। সুলতানের ক্রীড়া অভিযানের কারণে
বলকান ও আদড্রিয়ানোপল অঞ্চলের প্রজারাও প্রস্তুত থাকত।

একবার এক উপলক্ষে পনেরোটি পৃথক জেলা থেকে প্রায় ত্রিশ-চল্লিশ হাজার কৃষকদেরকে একত্রে জড়ো করা হয়। “চার-পাঁচ দিনের জন্য বনের গাছপালায় শব্দ করার জন্য নিয়োগ দেয়া হয় তাদের… এই চক্রের মাঝে সকল প্রকার বন্য পশুকে বন্দি করে ফেলা হয়। তারপর নির্দিষ্ট দিনে মহান প্রভু কুকুর, বন্দুক বা অন্য কোনোভাবে তাদের হত্যা করেন।” গ্রামাঞ্চলের ওপর এই বাহিনীর ভরণ- পোষণের জন্য শুল্ক আরোপ করা হয়। প্রচণ্ড শীতে, অপরিচিত জঙ্গলে পরিশ্রাত্ত ও ক্ষতি স্বীকার করে অনেকেই সুলতানের অবসরকালের উদ্দেশ্যে নিজেদের জীবন দান করতে বাধ্য হয় ।

এমন নয় যে সুলতানের সহচরেরা প্রভুর এহেন আচরণ সবসময় খুশি মনে মেনে নিত। বরঞ্চ স্মৃতিকাতর হয়ে তারা সেরাগলিওতে কাটানো কর্মহীন দিনের কথা ভাবত। পুত্রের এ যথেচ্ছাচার যাযাবরসুলভ প্রাণচাতুর্ষের তুলনায় হয়তো পিতার আয়েশী জীবন আনন্দের ছিল। এক শীতের দিনে ঘরে ফেরার ইশীরাতে পুরো বিশ ঘণ্টা ঘোড়ার পিঠে থাকে সুলতান ও অন্যদেরও বাধ্য করে। পূর্বপুরুষদের যুদ্ধ বিক্রমের মতো তীর শিকারের কাহিনীও কবিতাতে মহান হয়ে আছে। নিজের হাতে প্রতিটি শিকার করা পশুর সবিস্তারে বর্ণনা লিখে রাখত মাহমুদ ।
সুলতান মাহমুদ স্বেচ্ছায় শুধু দানিয়ুবে কোপরুলু আহমেদের সাথে অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু যখন প্রধান উজির যুদ্ধ করছিল সুলতান

শিকার করছিলেন। ১৬৬৩ সালে নিজ বাহিনীর সাথে আদ্রিয়ানোপল পর্যন্ত যাওয়ার পর আহমেদের হাতে পবিত্র ত্তস্ত হস্তান্তর করে সরে যান সুলতান। বেলগেডে আহমেদ এত বড় বাহিনীর নেতৃতু দেয় যেমনটা সুলেমানের পর থেকে আর একত্রিত হয়নি। এক্ষেত্রে ওয়ালাসিয়া, রুমানিয়া ও তুর্কি সহায়তায় হাবসবুর্ঘ থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত হাঙ্গেরিয় কৃষকেরা যোগ দেয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button